খেলা
সম্পর্কের লক্ষ্যে
ফুটবলের শহরে পুলিশের উদ্যোগে বসল ফুটবলের আসর। ফাইনাল ম্যাচ হল হাওড়া কর্পোরেশন স্টেডিয়ামে। ব্যাঁটরা থানার অবসর সম্মিলনী ক্লাবকে সাডেন ডেথে হারিয়ে প্রথম কমিশনার কাপ জিতে নিল লিলুয়া থানার বামনগাছি তরুণ দল।
মাস ছয়েক আগে তৈরি হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে রয়েছে আটটি থানা। হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় থানাগুলিকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। উত্তরে ছিল বালি, লিলুয়া, মালিপাঁচঘড়া ও গোলাবাড়ি থানার ক্লাবগুলি। দক্ষিণে অংশ নেয় জগাছা, শিবপুর, ব্যাঁটরা ও হাওড়া থানার ক্লাবগুলি। সব থানা মিলিয়ে ৫২টি ক্লাব অংশ নেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘প্রথম বারেই মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততায় আমরা উৎসাহী। আগামী বছরও প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চাই।”
নক আউট প্রথায় প্রতিযোগিতা প্রথম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। প্রথম সেমিফাইনালে ব্যাঁটরার অবসর সম্মিলনী গোলাবাড়ির সব্যসাচী ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শিবপুরের তরুণ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে লিলুয়া থানার বামনগাছি তরুণ দল।
ফাইনালে হলুদ জার্সির অবসর সম্মিলনী বনাম আকাশি জার্সির বামনগাছি তরুণ দলের লড়াইয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করেন অবসরের সুরজিৎ হাজরা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই গোল পরিশোধ করেন তরুণ দলের রাজদীপ রায়। এর পরে বামনগাছির এক ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। দু’দলই ক্রমাগত আক্রমণ চালাতে থাকে। কিন্তু কোনও দলই গোল করতে পারেনি। অবশেষে সাডেন ডেথে চ্যাম্পিয়ন হয় তরুণ দল। এই দলের অধিকাংশ ফুটবলারই নর্থ হাওড়া ফুটবল লাভার্সে কোচ জহর দাসের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন তরুণ দলের সৈকত পাত্রের হাতে। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হন অবসরের রাইট ব্যাক অশোক মান্না। তিনি বললেন, “বাড়ির অবস্থা ভাল নয়। একটা চাকরি হলে ভাল হত।” ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়, মোহনবাগান কোচ প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন ফুটবলার সাব্বির আলি, বিদেশ বসু, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সস্ত্রীক ওডাপা ওকোলি প্রমুখ। সত্যজিৎবাবু বললেন, “উদ্যোগটা ভাল। এখান থেকে ফুটবলার বেছে নিয়ে আলাদা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল হয়।”
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক বাড়িয়ে তুলতেই এই উদ্যোগ। তরুণরা পাশে থাকলে পুলিশ আরও ভাল কাজ করতে পারবে।”

ছবি: রণজিৎ নন্দী




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.