উৎপাদন দ্বিগুণ করতে বড় মাপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বার্জার পেন্টস। এর জন্য ২৬০ কোটি টাকা লগ্নি করবে সংস্থা। পাশাপাশি, রং তৈরির ক্ষেত্রে দেশের অগ্রণী ওই সংস্থা এবার নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত রসায়ন তৈরির ব্যবসাতেও নেমেছে। এ দিকে কাঁচা মালের দাম বাড়ার সমস্যা মোকাবিলায় রঙের দাম বাড়াচ্ছে বার্জার।
উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে নতুন একটি কারখানা স্থাপন করা ছাড়াও সংস্থার দুটি কারখানার উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ানো হবে। বার্জার পেন্টসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর বোস বলেন, “পরিকল্পনা রূপায়িত হলে দু’বছরের মধ্যে সংস্থার রং উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে বছরে ৫ লক্ষ টনে দাড়াবে।” নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য ‘হোম শিল্ড’ নামে বিশেষ বিভাগ চালু করেছে সংস্থা। তার আওতায় ৫টি পণ্য তারা বাজারে এনেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ওয়েদার কোট কুল অ্যান্ড সিল’ নামে ছাতে লাগানোর বিশেষ ধরনের রং। সংস্থার দাবি, ওই রং ব্যবহার করলে এক দিকে ছাত ফুটো হয়ে জল পড়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। অন্য দিকে মুক্তি পাওয়া যাবে ছাত গরম হওয়ার সমস্যা থেকেও।
এ দিকে, উৎপাদন বাড়াতে বেঙ্গালুরুর কাছে হিন্দুপুরে নয়া কারখানা গড়ছে বার্জার। এটি তৈরি করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সুবীরবাবু জানান, ২০১৩ সালের এপ্রিলে নতুন কারখানায় উৎপাদন শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে। সংস্থার বিষড়া ও গোয়া দু’টি কারখানার উৎপাদন ক্ষমতাও দ্বিগুণ করা হচ্ছে। খরচ পড়বে ৬০ কোটি। ওই দুই কারখনা সম্প্রসারণের কাজ আগামী ৫ মাসের মধ্যেই শেষ হবে।
নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য রাসায়নিক বিষড়া এবং পন্ডিচেরির পুরনো কারখানাতেই তৈরি করা হবে। ওই দুই কারখানায় নতুন প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। এত দিন রং তৈরির পর রাসায়নিক তৈরির ব্যসায় কেন নামল বার্জার? উত্তরে সুবীরবাবু বলেন, “প্রথমত, নির্মাণ শিল্পের দ্রুত প্রসার ঘটছে। গত পাঁচ বছরে যে- গতিতে এই শিল্প বেড়েছে, তা আগে কখনও হয়নি। দ্বিতীয়ত, এই শিল্পের জন্য যে পণ্য আমরা তৈরি করব, তা আমাদের কারখানাতেই তৈরি করা যাবে। পণ্য বিপণনের জন্যও আমাদের নিজস্ব পরিকাঠামোকেই ব্যবহার করা যাবে।” সুবীরবাবু জানান, সারা দেশে ওই ধরনের রাসায়নিকের ২০০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে।
তবে রং তৈরির কাঁচা মালের দাম দ্রুত বাড়তে থাকায় রঙের দাম বাড়াতে চলেছে বার্জার। ‘ডেকরেটিভ পেন্টস’-এর দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান সংস্থার ডিরেক্টর এবং সিওও অভিজিৎ রায়। |