উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ে পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে ৯ জন পরীক্ষার্থী। শুক্রবার সুতির কাশিমনগর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ওই পরীক্ষার্থীরা একটি গাড়ি করে হারুয়া হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে বহুতালি-কানুপুর সড়কে হারুয়া সেতুর কাছে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তারা সকলেই পরীক্ষা দিতে পেরেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পরে বিশেষ নজরদারিতে আহত ন’জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হল হাসপাতালেই। আহতদের এক জনকে আহিরণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও বাকিদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে তিন জন ছাত্রী। |
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হয় হারুয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারওয়ান হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের আহত হওয়ার খবর পেয়ে ভাঙচুর চালানো হয় স্কুলে। পরে পরীক্ষা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে শুরু হয় পরীক্ষা।” এরপরে পরীক্ষা দিয়ে ফিরে ক্ষুব্ধ ওই পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা চড়াও হন কাশিমনগর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে। তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যন্ত কেন্দ্রের ওই স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র করার পেছনে প্রধান শিক্ষকের হাত রয়েছে। ভাঙচুর চলে সেখানেও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলি বলেন, “৩০ কিমি দূরের ওই প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে আমাকে না জানিয়ে। রাস্তাও খারাপ। যানবাহনও নেই তেমন। ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মনে।” এ ছাড়া মনিগ্রাম হাইস্কুলেও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজনা ছড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরেও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
|
ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |