সেরা থানার লড়াইয়ে নাম উঠল দুবরাজপুরের
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
বর্ধমান রেঞ্জের সেরা থানার শিরোপা পাওয়ার লড়াইয়ে দুবরাজপুর থানার নাম উঠেছে। বর্ধমান রেঞ্জের স্পেশাল আইজি তথা ডিআইজি বাসবকুমার তালুকদার শুক্রবার দুবরাজপুর থানা পরিদর্শন করলেন। তিনি জানান, পুলিশ ও নাগরিকের মধ্যে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ একটি ওয়েবসাইট চালু করার চিন্তাভাবনা করছে। তিনি সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তবে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু বলব না।” এই জেলার দুবরাজপুর, খয়রাশোল, রাজনগর-সহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অবৈধ কয়লা পাচার বন্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে স্পেশাল আইজি দাবি করেন, “জেলা পুলিশ অবৈধ কয়লা পাচার বন্ধে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে।” পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুরে দুবরাজপুর থানায় গিয়ে তিনি থানার রেকর্ড, পরিবেশ-সহ আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, এ বার বর্ধমান রেঞ্জের মোট তিনটি থানা সেরা থানার লড়াইয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া অন্য দুই থানা হল বর্ধমানের বুদবুদ আর হুগলির শ্রীরামপুর। স্পেশাল আইজি পরে বলেন, “দুবরাজপুর থানা পরিদর্শন করে আমি সন্তুষ্ট।” তিনি আরও বলেন, “বীরভূম জেলা পুলিশ একটি ওয়েবসাইট চালু করার চিন্তাভাবনা করছে।” পুলিশ সুপার বলেন, “ওই ওয়েবসাইটে পুলিশ সংক্রান্ত তথ্য, ফোন নম্বর থাকবে। বাসিন্দারা পরামর্শও জানাতে পারবেন।” |
খোঁজ মিলল তিন বালক বালিকার
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বাগনানের তিন বালক-বালিকাকে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ও বর্ধমান থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ মার্চ বাগনানের বাসিন্দা নাসিমা বেগম তার তিন ছেলে-মেয়ে সাবানা ইয়াসমিন, রোহিত মোল্লা ও সাবিনা ইয়াসমিনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। পরের দিনই বাগনান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। তবে এখনও নাসিমা বেগমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বুধবার রাতে বর্ধমানের রেল পুলিশ সাবিনাকে বাগনানের হাবাল গ্রামে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাবানা ও রোহিতকে রঘুনাথগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ তাদের ঠিকানা জানতে পেরে বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই দুই ভাই-বোনকে তাদের মা রঘুনাথগঞ্জে নিয়ে আসে। গঙ্গার পাড়ে এক জায়গায় তাদের বসিয়ে রেখে নাসিমা চলে যান। শুক্রবার সাবানা ও রোহিতের মামা ফটিক শেখ এসে তাদের বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। ফটিক বলেন, “ওদের মা খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। এভাবে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। রাস্তা ভুলে ওরা হয়ত এখানে চলে এসেছে।”
|
শিশু নিখোঁজ নিয়ে তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট |
শিশু শ্রমিক ও শিশু পাচারের চক্করে ২০০৮-২০১০ সালের মধ্যে ভারতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে এক লক্ষেরও বেশি শিশু। শিশু নিখোঁজের এই হার সব চেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। এই নিয়ে এক এনজিও’র করা জনস্বার্থ মামলায় আজ কেন্দ্র, বিভিন্ন রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। আইনে শিশু নিখোঁজের নির্দিষ্ট সংজ্ঞা না থাকায় পদক্ষেপ করতে অসুবিধা হয় কর্তৃপক্ষের। তাই শিশু নিখোঁজের প্রকৃত সংজ্ঞা জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। |