শনিবারের নিবন্ধ
নব কলেবর

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সার্ধশতবর্ষ পূর্ণ হল পুণ্যশ্লোকা রানি রাসমণির প্রয়াণের। রবীন্দ্রনাথের জন্মের সামান্য ক’দিন আগে, এবং তাঁর সাধের দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দির প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছর ন’ মাস পর যে-প্রয়াণ। তবে তারই মধ্যে তিনি শ্রীশ্রী জগদীশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরানির পূজা সেবা ও সাধনার ভার ন্যস্ত করেছেন এক তরুণ পুরোহিত গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের হাতে, জগজ্জন যাঁকে অনতিকালে চিনবে শ্রীরামকৃষ্ণ হিসেবে। রাসমণির বিদায়ে মন্দিরে দাঁড়িয়ে পশ্চিমে গঙ্গার দিকে চেয়ে অঝোরে কেঁদেছিলেন ঠাকুর ‘ওই চলে গেলেন রানিমা’ বলে।
রানিমা’র মৃত্যুর দেড়শো বছর পরেও কেমন আছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির?
তা দেখতেই ‘জয় মা’ বলে হাজির হলাম মন্দিরে, এই সে দিন।


২০১২র মার্চ। সূর্যাস্তের আর সামান্য বাকি, অথচ দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের চত্বরে প্রবেশ করে মনে হল মন্দির জাগছে। চাতাল, সিঁড়ি ও নদীপাড় জুড়ে তখনও হাজার পাঁচেক মানুষের সমাবেশ। এখান-ওখান থেকে ভজন উঠছে, মন্দিরঘাটে গঙ্গার জল মাথায় ছোঁয়াচ্ছে নারীপুরুষআরেকটু পর শ্রীশ্রীজগদীশ্বরী কালীমাতা ঠাকুরানির সন্ধ্যারতি দর্শনের প্রস্তুতিতে।
দেখতে দেখতে মনে পড়ল ১৯৬৫-তে প্রকাশিত তাঁর অপরূপ জীবনীগ্রন্থ ‘রামকৃষ্ণ অ্যান্ড হিজ ডিসাইপলস’-এ ক্রিস্টোফার ইশারউড যা লিখছেন: ‘এক শ’ বছরেরও আগে তৈরি দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও প্রাঙ্গণ চেহারায় সেই আগেকার মতোই আছে।...এখন মন্দিরপ্রাঙ্গণের সে-দেখভাল নেই, যেটার দরকার ছিল। চাতালের টালি খসে গিয়ে জায়গাটা এবড়োখেবড়ো। তেমন যত্ন নেই বাগানগুলোরও। বেশ কিছু হর্ম্যে ভাঙন ধরেছে, উষ্ণ ও জলীয় আবহাওয়ায় যা সহজেই ঘটে যায়। ছেলেপুলে, মানুষজন ভিড় করে আসে ভিক্ষে করতে, নয়তো স্মারক বেচতে, কিংবা পয়সার বিনিময়ে দর্শনার্থীদের চটিজুতোর পাহারা দিতে। অবশ্য এ সবই অকিঞ্চিৎকর ব্যাপার-স্যাপার। আগন্তুকদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত এ-জন্যই যে, রামকৃষ্ণের প্রাপ্তবয়সে জায়গাটি যে-চেহারায় ছিল তার কতখানি আজও নিটোল, অটুট।’
আজকের ‘মেকওভার’ দক্ষিণেশ্বর
বলতে নেই, মন্দিরের চত্বরমুখে এসেই ‘মেকওভার’ করা দক্ষিণেশ্বর কালীধামের রূপসী বাংলা মূর্তির আঁচ পেয়েছিলাম ভর বিকেলেই। ইশারউডের বর্ণনার থেকে যা অনেকগুণ উন্নত। নদীর পাড় ধরে গজানো পুজোর ডালার হকারদের সরিয়ে, এককাট্টা করে, এক ছাদের নীচে বসিয়ে ডালা আর্কেড করা হয়েছে। পাণ্ডাগিরি, পুণ্যার্থী পাকড়াও করার চল দক্ষিণেশ্বরে কোনও কালেই ছিল না। যদিও একটা এলোমেলো অগোছালো চেহারা জায়গাটাকে পেয়ে বসেছিল এক সময়। মহিলাদের বস্ত্র-বদলের চালাগুলোও কেমন আলুথালু, চটের আড়ালসর্বস্ব ছিল। সেখানে পাকা দালানের ব্যবস্থাও নজরে পড়েছিল। অজস্র মানুষ মন্দিরে না এসেও পাড়ে বসে দেখলাম, দিব্যি একই সঙ্গে কোলে গঙ্গা আর অদূরে মন্দিরের চেহারা উপভোগ করছে। তখনই মনে একটা স্বস্তির ভাব এসেছিল, মনে পড়েছিল এক ফরাসি ঐতিহাসিকের অমর উদ্ধৃতি: ‘দ্য মোর থিংগস চেঞ্জ, দ্য মোর দে আর দ্য সেম’। কোনও কিছু যত বদলায়, ততই যেন তা আগের মতোই হয়ে যায়।
দক্ষিণেশ্বর হবে আন্তর্জাতিক
এখনকার প্রবীণ মানুষদের অনেকেই ইশারউডের বর্ণিত দক্ষিণেশ্বরের স্মৃতি বহন করে চলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে ভাগীরথীর পূর্ব ও পশ্চিম কূল দিয়ে বহু জল বয়ে গেছে। দিনে দিনে দক্ষিণেশ্বরে ভক্তের স্রোত বেড়েছে, কিন্তু সেই সমাগমে পরিচর্যার পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।
একবার কাগজে খবর বেরোল ‘গঙ্গার ভাঙনে দক্ষিণেশ্বরের বারোটি শিবমন্দির বিপন্ন’। শঙ্কা হত, ভক্তসমারোহ বাড়লেও মন্দিরের যত্নে কি কিছু টান পড়ছে? সে-শঙ্কা এক সময় মিলিয়েও গেল মন্দিরের অছি পরিষদের নবোদ্যোগে। ২০০২ সালে মন্দিরের সার্ধশতবর্ষ উদযাপনে এক বিপুল স্থাপত্য সংরক্ষণ প্রকল্প গৃহীত হল দক্ষিণেশ্বরে। প্রস্তাব হল, বেলুড়-দক্ষিণেশ্বরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার।
কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় ‘কথামৃত’ বর্ণিত দক্ষিণেশ্বরের চিত্রমতে তার নব রূপায়ণেরও নকশা তৈরি হল। রাসমণির মৃত্যুর পর তাঁর জামাতা মথুরমোহন বিশ্বাস যেমন মন্দির পরিচালনার ভার গ্রহণ করেছিলেন, এই আধুনিক কালে সেই কাজে ব্রতী হলেন রানির আরেক জামাতা প্যারীমোহন চৌধুরীর প্রপৌত্র কুশল চৌধুরী।
কথা অমৃত সমান
মন্দিরের সিঁড়ি, উঠোন জুড়ে রাশি রাশি লোক। কোনও শব্দ নেই, শুধু আরতির ঘণ্টাধ্বনি। নাটমন্দিরে ভজন বসেছে। অছি পরিষদের অফিসে সৌম্যকান্তি কুশল চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হল। বললেন, চেষ্টা করেছি দক্ষিণেশ্বরকে ঠাকুরের কালে ফিরিয়ে দিতে। ‘কথামৃত’য় নির্ভর করেই সব হয়েছে। মন্দিরের সাদাটে রঙের জায়গায় গেরুয়া দিয়েছি রং বেশি দিন টিকবে বলে।
বললেন, পাঠাগার চালু করেছি নানা ধরনের বই দিয়ে।
বললেন, মন্দিরকে পরিচ্ছন্ন রাখাই একটা যজ্ঞ। সেটাই চালিয়ে যাচ্ছি।
বললেন, গঙ্গার ভাঙন রোধ তো খুব বড় কাজ, চলতেই থাকবে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের পানীয় জল, শৌচাগার, গাড়ি রাখার জায়গা, ধ্যানভবন এ সবও করা গেছে। জায়গাটাকে যতখানি সম্ভব সবুজও করেছি।
যা হয়েছে যা দরকার
• দু’টি বিশ্রামাগার, ধ্যান ভবন, উন্নত চাতাল, নিকাশি ব্যবস্থা, দ্বিতল শৌচালয়, দু’টি অতিরিক্ত কার পার্ক, জল পরিশোধন ব্যবস্থা, জলের ট্যাঙ্ক, প্রাঙ্গণ পরিধি এলাকার সবুজায়ন। • মন্দিরে পৌঁছনোর সরু ও ভিড়াক্রান্ত রাস্তাটি অবিলম্বে চওড়া করা দরকার মনে করেন অনেকেই।
• নিবেদিতা সেতু হয়ে শহর কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ মসৃণ হয়েছে। • মেট্রো কবে পৌঁছোবে অনেকের জিজ্ঞাস্য।
• মন্দির প্রাঙ্গণের ভেতরে পরিষেবার উন্নয়ন। • ভিড়ের চাপ বাড়ছে। আরও পরিষেবার দাবি ক্রমবর্ধমান।
উদাস ভৈরবের চাতালে
কনে দেখা আলোয় এমনিতেই ভারি শোভা মন্দির প্রাঙ্গণের, সে রূপ আরও চড়েছে পুরো ক্ষেত্রটির রং, টালি পুনর্বিন্যাসের প্রসাধনে। শীতেও বেশ সবুজ দেখাল পঞ্চবটীকে, কিছু কাল ধরে বাগান করে বাঁধানো। একশো বছর আগের এক ফটোতে ধরা পঞ্চবটী আসলে পাঁচ বটের শাখাপ্রশাখায় জড়ানো-মোড়ানো এক গাছের জটলা। তারও এক উদাসভৈরব মূর্তি। যাকে শ্রীরামকৃষ্ণ পরিণত করেছিলেন এক অধ্যাত্ম বিজ্ঞানাগারে। তাঁর ১২ বছরের সাধনকালে এই পঞ্চবটীই তাঁর ধ্যানাসন, যেখানে তোতাপুরী-সাহচর্যে বেদান্ত চর্চা করে তাঁর ‘সন্ন্যাস’ গ্রহণও। এরই উত্তর-পশ্চিমে ছিল ভৈরবী ব্রাহ্মণীর পঞ্চমুণ্ডীর আসন, যেখানে মুণ্ডাসনে সাধনায় বসেছিলেন ঠাকুর।
ঠাকুরের ঘরের কোণে কোণে
গোধূলির আলো নেভার আগে একবার গিয়ে দাঁড়াতেই হয় মন্দির প্রাঙ্গণের একাংশে ঠাকুরের ঘরের কোণে। জীবনের শেষ ১৪ বছর যে নিরাভরণ বালিশ-তক্তাপোশসর্বস্ব ঘরটিতে কাটিয়েছিলেন তিনি। ১৮৭২ সালের ৫ জুন তারিখে ফলহারিণী কালীপূজার রাতে এই ঘরেই সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানে ষোড়শীপূজা করেছিলেন। ঘরটির পূর্ব দিক বরাবর একটা বারান্দা। পশ্চিম দিকেও গঙ্গামুখী অর্ধচন্দ্রাকৃতি আরেকটি বারান্দা। দ্বিতীয়টিতে দাঁড়িয়ে ঠাকুর গঙ্গা দেখতেন, আর পুবের বারান্দায় নবীন নরেন্দ্রকে দর্শন করে তিনি সমাধিস্থ হয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে দাঁড়াতেদেখলাম, সেই নরেন্দ্র রচিত গুরুবন্দনা ‘খণ্ডন ভববন্ধন জগবন্দন বন্দি তোমায়’ গেয়ে তাঁর সান্ধ্যকীর্তন চলছে।
এক কালের নিরাভরণ ঘরটিতে এখন রামকৃষ্ণ, সারদা ও বিবেকানন্দের ছবি শোভা পাচ্ছে। এক দেওয়ালে টাঙানো ঠাকুরের মিষ্ট বাণী ‘চৈতন্য হও’। তাঁর চৌকি ঘিরে ছোট্ট কাচের বেড়া উঠেছে, ঘর উপচে লোক বসেছেন বারান্দা জুড়ে। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় পড়তে ফের সেই ভাগীরথীর দৃশ্য। যার কিছুই বদলায়নি শ্রীরামকৃষ্ণের আমল থেকেও।
বারান্দা বেয়ে প্রাঙ্গণে আসতে দিনের শেষ আলোয় কালীমন্দির দেখে একটা ঘোর এল প্রায়। ঘিয়ে আর টেরাকোটা রঙে এক অপূর্ব ষোড়শী রূপ হয়েছে মন্দিরের। প্রাঙ্গণ জুড়ে জ্বলে-ওঠা বিজলি বাতিতে ঝলমল করছে। ঝলমল করছে নতুন টালিতে বাঁধানো উঠোনও, যেন সদ্য নিকোনো। নবরত্ন মন্দিরের গায়ে দাঁড়ানো রাধাকৃষ্ণ মন্দিরেরও নব রূপায়ণ চোখ এড়াবার নয়।
কাশী কাঞ্ছী কে বা চায়
কথাটা ফের মনে এল মন্দিরের সিঁড়ি বেয়ে মায়ের সন্ধ্যারতি দেখতে এসে। গর্ভমন্দির দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে ১৫ ফুট। সেখানে পুরাতন চেহারারই আদলে নবনির্মিত রুপোর সিংহাসনে পাষাণময়ী মাতা ঠাকুরানির দীর্ঘ আরতি দেখতে দেখতে নিমেষে নিক্ষিপ্ত হলাম স্বয়ং ঠাকুরের কালে। মনে এল রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকায় গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠোঁটে বসানো ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের গাওয়া ‘রানী রাসমণি’ ছবির সেই অমরগীতি...
‘গয়া গঙ্গা প্রভাসাদি কাশী কাঞ্ছী কে বা চায়,
কালী, কালী, কালী বলে অজপা যদি ফুরায়।’
সত্যিই তো, দেশে দেশে তীর্থ করে বেড়ায় কোন আহাম্মক! ঘরের পাশে এই অপরূপা, এই গঙ্গা, ঠাকুরের স্মৃতিজড়িত এই দক্ষিণেশ্বর ফেলে কোথাও যাওয়া মানেই তো ঘর ছেড়ে ধান্ধায় বেরোনো। এমন মধুর মূর্তির প্রেমে না পড়লে বাঙালি কীসের!
এই ভাল খাচ্ছি, ও ভোগে গন্ধ লাগে
নবীন ভাস্করের গড়া কষ্টিপাথরের কালো দক্ষিণাকালীর মূর্তিটির পাশাপাশি মন্দিরটিরও প্রেমে পড়েছিলেন ঠাকুর। মাকে জাগাতে তাঁর খড়্গ তুলে নিজের গলায় বসাতে গেছিলেন। সে-খাঁড়া এখন দক্ষিণেশ্বর দেবোত্তর এস্টেটের সংরক্ষণে। মায়ের মতো মায়ের মন্দিরের সঙ্গেও তাঁর রসের সম্পর্ক ঘটেছিল। মন্দিরের সামনেই নাটমন্দির, যেখানে মহাদেবের অবস্থান। নিত্যদিন মন্দিরে প্রবেশের আগে এই মহাদেবকেই প্রণাম করতেন তিনি। নাটমন্দিরের দক্ষিণের প্রাঙ্গণে বলিদান মঞ্চ। যে একটি বিষয়ে সায় ছিল না ঠাকুরের। উৎসবের ভোগ খেতে ডাকলে ভাগ্নে হৃদয়রামকে শোনা যায় মুড়ি খেতে খেতে বলেছিলেন, ‘এই ভাল খাচ্ছি। ও ভোগে গন্ধ লাগে।’
বড় আরাম হল দেখে যে, সেই বলিমঞ্চে এখন গাছ পোঁতা হয়েছে, বহু দিনের চেষ্টায় কুশল চৌধুরী দক্ষিণেশ্বরে পশুবলি রদ করতে পেরেছেন।
বললেন, খুব ইচ্ছা মানুষজনের জন্য একটা ফুড প্লাজা করার। এত লোক আসেন।
বললাম, কত লোক তবু?
বললেন, এমনি দিনে লক্ষ লোক। বিশেষ বিশেষ দিনে ১০-১৫ লক্ষ। এ বছর কল্পতরু দিবসে লোক হয়েছিল ১৭ লাখ। কিন্তু মন্দিরে পৌঁছানোর সরকারি রাস্তা সেই আগের মতোই সরু থেকে গেল। ও তো আমার সাধ্যের বাইরে। চাইলে সরকারই করতে পারে।
বললাম, আর ইচ্ছে কী? বললেন, দক্ষিণেশ্বরকে পৃথিবীর কাছে মেলে ধরা।
বসন্তের সুখের ছোঁয়া পরিবেশে। ভরসন্ধেয় নাটমন্দিরের পাশ বেয়ে ফিরতে ফিরতে মনে এল বছর ৩০ আগের এক সান্ধ্য আসরের কথা। রবিশঙ্কর বাজাচ্ছেন রাগ বসন্ত মুখারী আর আদি বসন্ত। হাজার হাজার মানুষ চোখ বুজে বাজনা শুনছেন। জীবনানন্দের ভাষায় বলতে গেলে, ... সেই মধুরেক্ষণ এখনও আমাদের ওষ্ঠে লেগে আছে।
দক্ষিণেশ্বর দক্ষিণেশ্বর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.