ডোমকল থানার ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আচমকা আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ২৬টি বাড়ি। শুক্রবার দুপুরে ওই আগুনে পুড়ে গিয়েছে বাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্রও। আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছে ৪টে গবাদি পশু। এ ছাড়াও পুড়ে গিয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশু। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, মোট ৩৫টি বাড়ি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। বহরমপুর থেকে দমকলের ১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন আয়ত্তে আনে। তার আগে অবশ্য স্যালো মেশিনের সাহায্যে জল ঢেলে গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। |
স্থানীয় বিডিও প্রভাসচন্দ্র দাস বলেন, “আগুনে ২৬টি বাড়ি ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় অধিকাংশ গ্রামবাসীর পাটকাঠির বেড়া দেওয়া টালি ও টিনের ছাউনির বাড়ি। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আচমকা আগুন লেগে গেলে তা পাটকাঠিতে ধরে যায়। আশপাশের বাড়িতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এদিন মসজিদে জুম্মাবারের নামাজ পড়তে যাওয়ায় ঘটনার সময়ে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই বাড়িতে ছিলেন না। ফলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি স্যালো মেশিনের সাহায্যে জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তত ক্ষণে আগুনের গ্রাসে অনেকের সর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে। এর পরে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভান। কিন্তু তার আগেই গ্রামবাসীদের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জবেদা বেওয়া, রেখা বিবিদের কথায়, “পরনের পোশাক ছাড়া আগুনে সব পুড়ে গিয়েছে। ঘরের মধ্যে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র থেকে রান্নার সরঞ্জাম কিছুই নেই। এমনকী টাকাও পুড়ে গিয়েছে।” গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলিম মণ্ডল বলেন, “মাথার আচ্ছাদনটুকু কেনার মতো অবস্থাও আমাদের নেই। ফলে প্রশাসন ত্রাণের ব্যবস্থা না করলে সবাই মিলে অনাহারে দিন কাটাতে হবে।” এ দিন আগুনে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছে ৪টে গবাদি পশু। পুড়ে গিয়েছে মোটরবাইকও। তবে বিডিও বলেন, “আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |