নকশা বহির্ভূত ভাবে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের চেলিডাঙা এলাকায়। বেনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ করায় বহুতল নির্মাতার কাছে প্রহৃতও হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক প্রতিবেশী। বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও ওই বহুতলের নির্মাতার দাবি, তিনি কোনও বেনিয়ম করেননি। আসানসোল পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক জানান, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে আদালতে একটি মামলাও শুরু হয়েছে।
আসানসোল পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের চেলিডাঙা এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ হচ্ছে। অভিযোগ, বহুতলটি পুরসভার নিয়ম-নীতি মেনে গড়া হচ্ছে না। যে নকশা পুরসভায় জমা পড়েছে, তা মেনেও নির্মাণ হচ্ছে না বলে প্রতিবেশীদের অভিযোগ তুলেছেন। আশপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুতলের চারপাশে যে জায়গা ছেড়ে রাখতে হয় তা রাখেননি নির্মাতা। এর ফলে তাঁরা অসুবিধায় পড়ছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, বহুতলটি নির্মাণের জন্য পুরসভার কলে পাম্প লাগিয়ে জল নেওয়া হচ্ছে। ফলে এলাকায় জলের সমস্যাও দেখা দিয়েছে। ওই বহুতলের প্রতিবেশী বিজয় কেডিয়ার অভিযোগ, “এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় নির্মাতা মণীশ কেডিয়ার লোকজন আমাকে মারধর করে। গোটা বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষ ও এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও ফল পাইনি।” শেষ পর্যন্ত তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক বলেন, “আমরা এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। বহুতল নির্মাতা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের কাজেও অনেকটা এগিয়েছিলাম। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখন মামলা হয়েছে। তাই আমরা আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।” অভিজিৎবাবুর আরও দাবি, শহরে বহুতল নির্মাণে কোনও বেনিয়মই মানা হবে না। ওই বহুতলের নির্মাতা মণীশ কেডিয়া বলেন, “আমি কোনও অবৈধ নির্মাণ করিনি। আমার বিরুদ্ধেই চক্রান্ত হচ্ছে।” তাঁর দাবি, পুরসভায় জমা দেওয়া নকশা অনুযায়ী নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ বন্ধ করার জন্য উল্টে তাঁকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে মণীশবাবুর অভিযোগ। |