হাসপাতালের আবর্জনার পাশেই মিলল নিখোঁজ রোগীর মৃতদেহ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পরিমল সরকার (৩০)। বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনায়। বৃহস্পতিবার সকালে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ঘটনাটি ঘটেছে। সাফাই কর্মীরা ব্লাড ব্যাঙ্কের পিছনে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকা দেহটি দেখতে পান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাসপাতাল সুপার কাজল মণ্ডল। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গত ৫ মার্চ রাত ন’টা নাগাদ ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ওই যুবককে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। দু’দিন পরেই পরিমলবাবু হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশকেও এ ব্যাপারে জানানো হয়। এর পরে ৯ মার্চ রাতে এক ভ্যানচালক তাঁকে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। দিন চারেক পরে ফের নিখোঁজ হয়ে যান পরিমলবাবু। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন থেকেই ওই রোগীর যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গেলেও হাসপাতাল চত্বরেই পরিমলবাবুকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে একাধিকবার। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ সরকার বলেন, “ওয়ার্ডে রোগী না থাকায় পুলিশকে জানিয়েই দায় সেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” এর আগেও হাসপাতালের শৌচাগারের পাশে মৃত্যু হয়েছিল মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তির। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “ওই রোগী একাধিকবার হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। প্রতিবারই আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম।” যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অপুষ্টি জনিত কারণেই ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন বলে দাবি হাসপাতালের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
শিশুমৃত্যু এবং অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। এবং এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগতি বাম জমানাতেই ঘটেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় পূর্বতন বাম সরকারকেই দায়ী করেছিলেন। গত কাল যোজনা কমিশন এবং ইউএনডিপি-র উদ্যোগে প্রথম ভারতীয় মানব বিকাশ পুরস্কার অনুষ্ঠান ছিল রাজধানীতে। সেখানেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০-এ ৩১। গুজরাতে ১০০০-এ ৪৪। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে অপুষ্ট শিশুর হার ৪৪.৬ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে ৩৮.৭ শতাংশ। মা-পিছু সন্তানের হার পশ্চিমবঙ্গে ১.৯, গুজরাতে ২.৫ শতাংশ। এই উন্নতির পিছনে বাম সরকারের সদর্থক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে জয়রাম বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুরস্কার পাওয়ায় আমি খুবই খুশি।” মালদহ এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি করেছে বলেও তিনি জানান। |