দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় পাঁচদিনের সবলা মেলা শেষ হয়ে গেল গত মঙ্গলবার। গত ৯ মার্চ মেলার উদ্বোধন করেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। জেলার ২৯টি ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভির গোষ্ঠীর ৭০টি স্টল বসেছিল। ছিল সরকারি স্টলও। নিজেদের তৈরি বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র নিয়ে স্টল সাজিয়ছিল স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলি। যে সব সরকারি দফতর স্টল দয়ছিল তার মধ্যে কৃষি, মৎস্য অন্যতম। মেলায় নারীদের আইনি সচেতনতা, ক্ষুদ্র ঋণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বাজার সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাঁদের কাজে উৎসাহ জোগানোর জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।” তিনি আরও জানান, মেলায় পাঁচদিনে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিক্রি হয়েছে।
|
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তিন দিন ধরে ‘বিবেক মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল টাকিতে। রাজ্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে এবং টাকি পুরসভার পরিচালনায় গত ১০ মার্চ সকালে এক প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মেলার বিভিন্ন দিনে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাটের মহকুমা শাসক শ্যামল মণ্ডল, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নারায়ণ মুখোপাধ্যায়, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ছবি আঁকা, আবৃত্তি, গল্প বলা, নাটক, যাত্রা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতা এবং সফল প্রতিযোগীদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মেধা ও সাহসিকতার জন্যও কয়েকজনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
|
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল বসন্ত উৎসব। ধ্রুপদী সঙ্গীতচক্রের ১৮তম বাৎসরিক উৎসব পালিত হল বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে। সংস্থার সভাপতি অরুণ চট্টোপাধ্যায় জানান, দু’দিনের এই উৎসবে খেয়াল, ঠুমরি, তবলা লহরা, ভজন পরিবেশন করেন শিল্পীরা। অন্যদিকে, বাদুড়িয়ার চাতরায় বাসুদেব মন্দির প্রাঙ্গণে কথায়, গানে, নৃত্যে রঙে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল মিলনবীথির সদস্যরা। পথ পরিক্রমার পর পলাশ বৃক্ষ রোপণ করা হয়। এ ছাড়াও সকালে হোলি উৎসবের পর বিকালে বাউল সঙ্গীত, নৃত্যানুষ্ঠান দর্শকদের মুগ্ধ করে। |