একশো দিনের কাজের প্রকল্পে মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েত ঘেরাও করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার হুড়া ব্লকের চাটুমাদার গ্রাম পঞ্চায়েতে। এ দিন সকালে পঞ্চায়েত খোলার আগেই শ্রমিকেরা অফিসের সামনে জড়ো হন। গাঁইতি, কোদাল নিয়ে অফিস ঘেরাও করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চেয়েত এলাকার দান্দুডি গ্রামে একটি পুকুর সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছে পঞ্চায়েত। ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কাজটি শুরু হয়েছে বলে শ্রমিকেরা জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, যে গ্রামে পুকুর সংস্কারের কাজটি চলছে সেই সংসদ এলাকার দান্দুডি, বোরিয়ারপুর, করণডি ও পিয়ালশোল এই চারটি গ্রামের ১৮১ জন শ্রমিক একশো দিনের প্রকল্পে এই পুকুর সংস্কারের কাজ করছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, ১৭ ফেব্রুযারি থেকে তাঁরা কাজ করছেন। |
অথচ এখনও তাঁরা কোনও মজুরি পাননি। এ দিন সকালে পুকুরে যাওয়ার পরে সেখান থেকে শতাধিক শ্রমিক সোজা পঞ্চায়েতে হাজির হন। তখন পঞ্চায়েতের চতুথর্র্ শ্রেণীর কর্মী অফিস খুলছিলেন। ক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা তাঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেন। পিয়ালশোল গ্রামের বাসিন্দা টগর মাহাতো, শেফালি মাহাতো, শকুন্তলা মাহাতো, বোরিয়ারপুরের রেবতী মুদি, ছবি মুদি বা দান্দুডির আদিত্য মাহাতোদের অভিযোগ, “ইতিমধ্যে তিন বার অমাদের কাজের মাপজোক করেছে পঞ্চায়েত। অথচ আজও আমরা কাজের মজুরি পাইনি। পোস্টমাস্টার বলছেন টাকা আসেনি। পঞ্চায়েত বলছে, টাকা পাঠানো হয়েছে।” পঞ্চায়েত সচিব অনুপম মণ্ডল বলেন, “গত ৯ মার্চ শ্রমিকদের মজুরির প্রথম কিস্তির টাকা পোস্টঅফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে।” তিনি শ্রমিকদের বোঝানোর পরে তাঁরা ঘেরাও তুলে নেন। পোস্টমাস্টার কান্দর্প নারায়ণ মুদি বলেন, “কিছু দিন আগে শ্রমিকেরা যখন খোঁজ নিতে এসেছিলেন। তখনও টাকা এসে পৌঁছয়নি। কয়েক দিন আগে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছেছে। শ্রমিকদের জানানো হয়েছে।” প্রধান সুভাষচন্দ্র মাহাতো ফোনে বলেন, “শীঘ্রই তাঁরা যাতে মজুরি পান, তার জন্য আমি পোস্টমাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করব।” |