জেলা আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার মামলা মহকুমা আদালতে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন আইনজীবী ও ল’ক্লার্করা। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতের ঘটনা। বুনিয়াদপুরে অবস্থিত ওই আদালতের সমস্ত বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘পেন-ডাউন’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন ভুক্ত ৮৪ জন আইনজীবী ও ৯০ জন ল’ক্লার্কের ওই কর্মবিরতি আন্দোলনের জেরে এদিন আদালতের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে বালুরঘাট থেকে সেখানে যান জেলা জজ সতীশ ভার্মা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ‘পেন-ডাউন’ কর্মসূচি জারি রেখেছেন আইনজীবীরা। বুনিয়াদপুর মহকুমা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, গঙ্গারামপুর মহকুমার অধীন চারটি ব্লকে খুন, ধর্ষণ, বধূ হত্যা, পথ দুর্ঘটনার মত কয়েক হাজার অপরাধের মামলা বিচারের জন্য বালুরঘাট জেলা আদালতে ফেলে রাখা হয়েছে। অথচ ওই মামলা গুলি গঙ্গারামপুরের বুনিয়াদপুর মহকুমা আদালতে বিচার হলে এলাকার বিচার প্রার্থী থেকে অভিযুক্ত ও পরিবারের লোকেদের সময় ও হয়রানি অনেক কমে যেত। দেবাঞ্জনবাবুর দাবি, কুশমন্ডি এবং হরিরামপুর ব্লকের দূরবর্তী অঞ্চল থেকে বালুরঘাট আদালতের দূরত্ব প্রায় ৯৫ কিলোমিটার। ফলে বিচারপ্রার্থীদের সকালে বাড়ি থেকে বার হয়ে বালুরঘাটে গিয়ে ফের বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে যায়। পাশাপাশি মহকুমা আদালতের আইনজীবীদেরও মামলার অভাবে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে। অবিলম্বে মহকুমা এলাকার আওতাভুক্ত মামলা গুলি বালুরঘাট জেলা আদালত থেকে বুনিয়াদপুর আদালতে স্থানান্তরিত করা না হলে বড় আন্দোলন হবে বলে আইনজীবীরা হুমকি দিয়েছেন। বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, ১৯৯৮ সালে এজেলার বুনিয়াদপুরে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালত তৈরির পরে অল্পসংখ্যক মামলা মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। এদিন বুনিয়াদপুর আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে কুশমন্ডির করঞ্জি এলাকার বাসিন্দা বিচার প্রার্থী মোক্তার আলি বলেন, “মামলার তারিখ ছিল। হঠাৎ কর্মবিরতির জেরে ঘুরে যেতে হচ্ছে বলে হয়রানি হল ঠিক। তবে বালুরঘাটে গিয়ে যে হয়রানি হয়ে তাকে তার হাত থেকে অব্যাহতি আমরাও চাই। মামলা গুলির বিচার মহকুমা আদালতে হলে খরচ ও সময় দুইই বেঁচে যায়।” |