সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের ১৫টি জেলার ৩৫টি গ্রামীণ হাসপাতাল, ১৫টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১৫টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রসব-হারের উপর পুরস্কৃত করা হয়েছে। নদিয়া জেলার করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতাল, বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতাল, বগুলা গ্রামীণ হাসপাতাল, চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতাল, দত্তফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পানিঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ওই পুরস্কার পেয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রসব হারের উপরে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানোর।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যেখানে প্রসব হার বছরে ৩০০ থেকে ১০০০। তাদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে দত্তফুলিয়া ও পানিঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যেখানে প্রসব হার বছরে ১৫০০ থেকে ২৫০০। তাদের দেওয়া হয়েছে দেড় লক্ষ টাকা। এই তালিকায় রয়েছে বগুলা ও চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতাল। আর যেখানে প্রসব হার বছরে ২৫০০ এর বেশি তাদের দেওয়া হয়েছে দুই লক্ষ টাকা। করিমপুর ও বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতাল এই পুরস্কার পেয়েছে। বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার জীবেশচন্দ্র বাইন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এমন পুরস্কার পেয়ে সত্যিই ভাল লাগছে। আমাদের হাসপাতালে প্রসব হার বছরে প্রায় ২৬০০। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের সব কিছুই খুব কম। তার পরেও হাসপাতালের সকলেই আপ্রাণ কাজ করে যান এত প্রতিকূলতার মধ্যেও।’’ প্রায় একইরকম কথা বললেন বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার তুষার বিশ্বাস কিংবা করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার বিধুভূষণ মাহাতো। তাঁদের কথায়, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সকলেই চেষ্টা করি আমাদের সবথেকে ভালো পরিষেবা দেওয়ার। কিন্তু তারপরেও অনেক সময় সাধারণ মানুষ আমাদের ভুল বোঝেন আসলে আমাদেরও অনেক সমস্যার মধ্যে কাজ করতে হয় এটা সকলেরই বোঝা দরকার।” |