টুকরো খবর
সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কে আগুন
আগুন লেগে অকেজো হয়ে গেল মানিকতলার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের প্লাজমা সংরক্ষণ ইউনিট। বুধবার ভোরের ঘটনা। রক্ত থেকে প্লাজমা পৃথক করে সংরক্ষণ হত সেখানে। আগুনের পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আপাতত তা বন্ধ। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, নিশ্চিত জানাতে পারেননি কর্তারা। তত দিন আশপাশের সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লাজমা সংরক্ষণ হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। ওই ব্লাড ব্যাঙ্কে যে অগ্নি-নির্বাপণের ন্যূনতম ব্যবস্থাও ছিল না, এই ঘটনায় তা সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, আগুনের পরে সেখানকার অগ্নি-নির্বাপণ খাতে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা জানান, প্লাজমা সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকা জরুরি। তাপমাত্রা এর চেয়ে বেড়ে গেলেই নষ্ট হয়ে যায় প্লাজমা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সংরক্ষিত প্লাজমা অন্যত্র সরিয়ে, সেখান থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। আগুনের খবর জানতেই রক্ত নিতে আসা লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। যাঁদের নিয়মিত রক্ত প্রয়োজন, তাঁরা কী করবেন, সে প্রশ্নও ওঠে। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “আমাদের দু’জন প্রতিনিধি পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে। প্লাজমা পেতে সমস্যা হবে না।” স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোর চারটে নাগাদ ব্লাড ব্যাঙ্কের নীচের চায়ের দোকানের মালিক দোতলার ঘর থেকে আগুন বেরোতে দেখেন। এর পরে স্থানীয়েরা এসে রাতের চিকিৎসককে ডাকেন। পরে দমকল পরিস্থিতি সামলায়। ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্তারা স্বীকার করেছেন, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা তাঁদের নেই। এক কর্তা বলেন, “এসিগুলি বহু পুরোনো। তার থেকেও আগুন লাগতে পারে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্ত দেওয়ার ঘরে আগুন লাগলে মারাত্মক পরিণতি হবে।” কর্তাদের অভিযোগ, অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য ২০১০ থেকে তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে টাকা চাইছেন। এত দিন কিছুই বরাদ্দ হয়নি।

ধোঁয়ায় আতঙ্ক নার্সিংহোমে
আগুনের আতঙ্ক ছড়াল বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে। আতঙ্কে শিশুদের নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন প্রসূতিরা। বুধবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বর্ধমানের বিসি রোডে বড়বাজারের কাছে এই ঘটনাটি ঘটে। বর্ধমানের ডেপুটি সিএমওএইচ (১) নিশীথকুমার মণ্ডল বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। সামান্য ধোঁয়া বের হয়েছিল। হতাহত নেই। তবে নার্সিংহোমের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা শীঘ্রই খতিয়ে দেখা হবে।”
স্যালাইন হাতেই রাস্তায় রোগীরা। নিজস্ব চিত্র।
নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নার্সিংহোমের ভিতরে জেনারেটরের তার মেরামতির কাজ চলছিল। আচমকাই চার দিক ধোঁয়ায় ভরে যায়। জনা তিরিশ প্রসূতি এই সময় নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন। অনেকেই ভয় পেয়ে যান। শিশুদের নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। টিনা নন্দী, জিন্নত বেগম, টুম্পা কোলে, মণিকা রায়েরা বলেন, “খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এতো ধোঁয়া। আমরি হাসপাতালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। তাই কোনও মতে বাচ্চাদের নিয়ে আমরা বেরিয়ে আসি।” নার্সিংহোমের মালিক এ পি কর অবশ্য বলেন, “খুবই সামান্য ঘটনা। বলার মতো কিছু হয়নি।” দমকলের ওসি তপন মুখোপাধ্যায় পরে বলেন, “আমাদের আগুন নেভাতে হয়নি। কিন্তু নার্সিংহোমের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে আবার অভিযান চালাতে হবে। একটানা অভিযান চালানোর সময় পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছিল। তার পরেই দেখছি, আবার নানা অভিযোগ উঠছে।”

রাতে হাসপাতালে আগুন, আতঙ্ক
ঢাকুরিয়ায় আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষত এখনও দগদগে। এই অবস্থায় বুধবার রাতে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে। পুলিশ ও দমকল সূত্রের খবর, রাত ৯টা নাগাদ ওই হাসপাতালের তেতলায় বারান্দায় রোগীদের শুকোতে দেওয়া কাপড়ে কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনের কালো ধোঁয়া নিকাশি পাইপ দিয়ে দোতলায় মহিলা বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। রোগীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। তাঁরা একতলায় জরুরি বিভাগে নেমে চলে আসেন। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ নিজেরাই আগুন আয়ত্তে আনেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.