ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে সেখানকার বেশ কয়েক জন কর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ তিন ফেরার আমরি-কর্তার বাড়িতে আদালতের সমন নিয়ে গিয়েও তাঁদের দেখা পায়নি বলে সরকারের তরফে বুধবার আলিপুর জেলা জজ ও দায়রা আদালতে জানানো হয়। ওই তিন অভিযুক্ত আমরি-কর্তা হলেন রাহুল তোদি, আদিত্য বর্ধন এবং প্রীতি সুরেখা। এ দিন আদালতে তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি ছিল। সোমবার অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবীরা সওয়াল শেষ করেন। বিচারক অসিত দে-র এজলাসে এ দিন ওই সওয়ালের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য বলেন, “ওই তিন ফেরার অভিযুক্ত গোড়া থেকেই তদন্তকারী দলকে এড়িয়ে চলছেন। তাঁরা তদন্তের মুখোমুখি হতে চাননি।”
আবেদনকারীদের আইনজীবীরা সওয়ালে বলেছিলেন, তাঁদের মক্কেলরা আমরির ‘নন-এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর’। তাঁরা হাসপাতালের কাজ দেখতেন না। প্রশাসনিক কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপও করতেন না। আর রাহুল তোদি তো ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানের পরিচালন বোর্ডের কোনও বৈঠকেই যোগ দেননি। এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে শক্তিবাবু এ দিন আদালতে জানান, আজকাল প্রযুক্তি এতটাই এগিয়েছে যে, তাতে কেউ সশরীরে পরিচালন বোর্ডের বৈঠকে বা কার্যস্থলে উপস্থিত না-থেকেও পরামর্শ দিতে পারে। তিনি বলেন, “ওই হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ৯২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং ৮৯ জন রোগী আহত হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের জামিন দিতে গেলে স্বভাবতই ভাবতে হবে, সমাজে এর কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে।”
সোমবার তিন অভিযুক্তের আগাম জামিন চেয়ে তাঁদের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্যাপারেও ওই তিন কর্তার কোনও দায়িত্ব ছিল না। তাঁরা জানান, হাইকোর্ট থেকে আমরির অন্যতম ডিরেক্টর রাধেশ্যাম অগ্রবাল জামিন পেয়ে গিয়েছেন। এ দিন সরকারি আইনজীবী শক্তিবাবু জানান, হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।” আদালত দু’পক্ষের বক্তব্য শুনলেও কোনও আদেশ দেয়নি। আজ, বৃহস্পতিবার আগাম জামিনের ব্যাপারে আদেশ দেওয়ার কথা। আমরির অন্য দুই কর্তা রাধেশ্যাম অগ্রবাল এবং প্রশান্ত গোয়েনকার জামিনের আবেদন নিয়েও আজ হাইকোর্টে শুনানির দিন ধার্য আছে। |