নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অস্থায়ী পুরকর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে এ বার বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দিল সংগ্রাম কমিটি। বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভায় মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তকে স্মারকলিপি দেয় সাফাইয়ের কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের অস্থায়ী কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি। তাদের কেউ ১৫ বছর কেউ ১৮ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন অস্থায়ী সাফাই কর্মী হিসাবে। অভিযোগ, তাঁদের স্থায়ীকরণের জন্য পুর কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এ দিন মেয়রের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ জানান, লাগাম ছাড়া হয়ে ম্যান্ডেজের তালিকায় নতুন কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তাদের একাংশ কাজে যোগ দিয়েই পুরনো কর্মীদের উপর ছড়ি ঘোরাতে চাইছেন। অনেককে সুপার ভাইজারের কাজও দেওয়া হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দায়িত্ব দিতে হবে। এপ্রিল মাসের মধ্যে স্থায়ীকরণ-সহ অন্যান্য দবির ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা না নেওয়া হলে পুরসভায় তালা লাগিয়ে অচল করার হুমকি দিয়েছে অস্থায়ী কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি। মেয়র বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়টি, বিশেষ করে ১০ বছরের বেশি যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের ৬৬০০ টাকা করে ন্যুনতম বেতনের দাবির বিষয়টি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিলে তবেই তা কার্যকরি করা সম্ভব। তবে সাফাই কর্মীরা জুতো, সাবান, বর্ষাতির যে দাবি করেছেন তা অবশ্য দ্রুত মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাফাই কর্মীদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনতেও আমরা সচেষ্ট।” সাফাই কর্মীদের পক্ষে সুবোধ কুমার দাস, গোবর্ধন বাল্মীকিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সাফাই কর্মীদের নিয়োগ এবং ছাঁটাই ইচ্ছে মতো করা ঠিক নয়। গোবর্ধনবাবু বলেন, “ম্যান্ডেজ হিসাবে অনেক সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি উদ্বেগের।” বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মেয়রও। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পরই ম্যান্ডেজ হিসাবে নতুন করে কর্মী নিতে নিষেধ করেছেন। যাঁরা রয়েছেন ছবি-সহ তাঁদের নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা হয়েছে।” দলমত নির্বিশেষে অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা সংগ্রাম কমিটি গড়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এ দিন মিছিল করে পুরসভায় যান কর্মীরা। স্থায়ীকরণ এবং ন্যুনতম বেতনের দাবি ছাড়াও অন্য বিষয়গুলির মধ্যে আছে সাফাইকর্মীদের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে শৌচাগারের ব্যবস্থা, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে কর্মীদের পদোন্নতি, চিকিৎসা বিমা, সাফাই কর্মীদের জুতো সাবান, বর্ষাতির ব্যবস্থা করা। |