|
|
|
|
আন্দোলনের ডাক |
রেল বাজেটে প্রত্যাশা
মিটল না ঝাড়খণ্ডের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
|
|
প্রত্যাশার ঝুলি পূর্ণ হল হতাশায়। অনুন্নয়নের অভিযোগ খণ্ডন করতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রেল বাজেটে আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এ বারের রেল বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনও খুশির বার্তা পেলেন না ঝাড়খণ্ডবাসী।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য শাখার বিরোধিতা তো স্বাভাবিক। এমনকী ২০১২-’১৩ অর্থ বছরের রেল বাজেটে গভীর হতাশা প্রকাশ করছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতৃত্বও।
রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ বালমুচু তো স্পষ্টই বলেছেন, ‘‘এ বার রেল বাজেটে আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। উন্নয়নের প্রশ্নে রেল বাজেটে ঝাড়খণ্ড অনেক কিছু পাবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু কিছুই পাওয়া গেল না।’’ এর পরই দলের হতাশা চেপে না-রেখে রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান প্রদীপবাবু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই রেল মন্ত্রকে আমাদের আশাভঙ্গের কারণ সবিস্তারে লিখিত ভাবে জানাব।”
রেল বাজেটকে ‘গরিব এবং জন-বিরোধী’ বলে বর্ণনা করে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেন, “এ বার রেল বাজেটে ঝাড়খণ্ডকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। আমরা সর্বস্তরে এই বাজেটের বিরোধিতা করার
ডাক দিয়েছি। কাল বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্য জুড়ে শুরু হবে রেল বাজেটের বিরুদ্ধে জনতার আন্দোলন। যাত্রীদের হয়রানি না-করে আন্দোলনের সূচনায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মালগাড়ি অবরোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এ বার রেল বাজেটে ঝাড়খণ্ডের প্রাপ্তির মধ্যে আদর্শ স্টেশন গড়ে তোলার তালিকায় স্থান পেয়েছে ডালটনগঞ্জ এবং গঢ়বা রোড স্টেশনের নাম। নতুন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে রয়েছে সেকেন্দরাবাদ-দারভাঙ্গা ভায়া রাঁচি। ট্রেনটি সপ্তাহে দুদিন যাতায়াত করবে। রাঁচি-দুমকা ভায়া দেওঘর ইন্টারসিটি, চলবে সপ্তাহে প্রতিদিন। নয়াদিল্লি-রঁচি রাজধানী এক্সপ্রেসটি সপ্তাহে একদিনের পরিবর্তে দু’ দিন যাতায়াত করবে। এ ছাড়া নতুন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তালিকায় কলকাতা-চিত্তরঞ্জন ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে দেওঘর পর্যন্ত করা হয়েছে। কোডারমা-নওয়াড়ি প্যাসেঞ্জার সপ্তাহে ছ’দিন চলবে। রেল সূত্রের খবর, এই সব ক’টি নতুন ট্রেন নয়। কয়েকটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কয়েকটির সপ্তাহিক যাতায়াতের দিন বাড়ানো হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের রেলপথ সম্প্রসারণের প্রশ্নে বাজেটে দুমকা-শিকারিপাড়া এবং কোডারমা-উরুয়া নতুন লাইন পাতার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বাজেটে রাজ্যের সহযোগিতায় পাঁচটি রেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার কথাও আছে।
মাওবাদী প্রভাবমুক্ত করার কেন্দ্রীয় প্রয়াসের সঙ্গে রেল বাজেটে ঝাড়খণ্ডের প্রাপ্তির তালিকাকে একেবারেই বেমানান বলে মনে করছেন রাজ্য প্রশাসনের অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, অনুন্নয়নকে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই গ্রামোন্নয়নের একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ রেল বাজেটে প্রতিফলিত হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। বাস্তবে যা হয়নি। |
|
|
|
|
|