আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও দোকান ভাঙতে বাধা তৃণমূলের
দালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দোকনঘর ভাঙতে গিয়ে তৃণমূলের লোকজনের বাধায় ফিরে যেতে হল পুলিশ-প্রশাসনকে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ থানার কুমারজোল পঞ্চায়েতের বেদেমারি বাজারে। বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। হাতে ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল মহিলারাও। দোকানগুলি ভাঙার জন্য প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পরে বিক্ষোভের জেরে বাধ্য হয়েই ফিরে আসতে হয় পুলিশ-প্রশাসনকে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবি, আদালতের নির্দেশ কার্যকর করার আগে যাঁদের দোকান ভাঙা হবে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
পুলিশ ও বসিরহাট মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেদেমারি বাজারে সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘদিন ধরেই দোকান তৈরি করে ব্যবসা করছেন মফিজুল মোল্লা, বাপি মোল্লা, ইউনুফ মোল্লা, হাফিজুল হক, গোলাম রসুল মোল্লা, রহমানুর মোল্লা, মিজানুর রহমান, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, কোহিনূর মোল্লা-সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী। ওই সব দোকানের পিছনের জমিতেই রয়েছে একটি বাজার। ওই জমির মালিক হাবিবুল মোল্লা, সাজ্জাত আলি মোল্লাদের অভিযোগ, বাজারে ঢোকার রাস্তায় অবাধৈ ভাবে দোকান তৈরি করে ব্যবসা হচ্ছে। দোকানগুলি সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসককে ওই রায় কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই দোকানমালিকদের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের। ছবি: সামসুল হুদা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকারের নেতৃত্বে মিনাখাঁ থানার ওসি এবং সিআই-বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। ম্যাজিস্ট্রেট তাপস বিশ্বাস, মিনাখাঁর বিডিও শ্যামল পাল, পূর্ত এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরাও ছিলেন। পুলিশকে আসতে দেখে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন দোকানদারেরা। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল তৃণমূলের পাতাকা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঝাঁটাস লাঠি হাতে ছিলেন মহিলারাও। বিকেল তিনটে পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের বোঝালেও তারা কোনও কথা না শোনায় ফিরে যান পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা। দোকানমালিকদের মধ্যে মিজানুর রহমান, মফিজুল মোল্লারা বলেন, “আমাদের দোকানের পিছনে বাজারে ঢোকার রাস্তা আছে। তা সত্ত্বেও জুলুম করে ব্যবসা তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দোকানঘর ভেঙে দিলে আমাদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে।”
আদালতের নিদের্শ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা দোকান ভাঙতে বাধা দিলেন জানতে চাওয়া হলে স্থনীয় তৃণমূল নেতা গিয়াসুদ্দিন মোল্লা বলেন, “আদালত যে রায় দিয়েছেন তা আমরা মানতে বাধ্য। কিন্তু তাই বলে ৫০-৬০ বছর ধরে যাঁরা এখানে ব্যবসা করছেন তাঁদের এ ভাবে উচ্ছেদ মেনে নেওয়া যায় না। আগে সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই দোকান ভাঙতে দেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.