পানবাজার হয়নি, ক্ষোভ রামনগরে |
রামনগরের পানচাষিদের জন্য স্থায়ী পানবাজার ও বিপণনকেন্দ্র তৈরি খাতে দীর্ঘ দিন ধরে ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা পড়ে থাকলেও দরপত্রের ভেটিং সংক্রান্ত জটিলতায় আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ক্ষুব্ধ পানচাষিরা সম্প্রতি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের দ্বারস্থ হয়েছেন। ‘রামনগর পানচাষি ও এজেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র পক্ষ থেকে প্রলয় ওঝা, অবন্তী পাত্ররা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই, রাজ্যের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি পান উৎপাদন হয় রামনগরে। প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার পান রামনগর বাজারে বেচাকেনা হয়। স্থানীয় ভাবে প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষ পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে এই পান ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু পান বিক্রেতাদের জন্য এখানে কোনও স্থায়ী বিপণনকেন্দ্র না থাকায় পান বিক্রেতাদের রাস্তার ধারে বসেই পান বিক্রি করতে হয়। রাস্তার ধারে কেনাবেচায় যানবাহনের ধাক্কায় অনেক সময়ে অনেকে আহতও হন। ২০১০ সালে উদ্যানপালন দফতরের তরফে রামনগরে স্থায়ী পানবাজার বা বিপণনকেন্দ্র তৈরির জন্য রাষ্ট্রীয় কৃষিবিকাশ যোজনায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। ওই বছরই রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতি জেলা পরিষদের সহকারী নির্বাহী আধিকারিকের নির্দেশে জেলা বাস্তুকারের কাছ থেকে ভেটিং (কাজের বিভিন্ন ভাগের এস্টিমেট) করিয়ে ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি সাতটি ভাগে ভাগ করে টেন্ডার করে। কাগজপত্রও উদ্যানপালন দফতরে পাঠায়। কিন্তু ওই ভেটিং পদ্ধতি নিয়েই পরে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর আপত্তি তোলে। ফলে বরাদ্দ টাকা থাকলেও প্রকল্পটি বিশ-বাঁও-জলে। তবে মন্ত্রী যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বলে পানচাষি ও এজেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দাবি।
|
ভরদুপুরে কেশিয়াড়ির ব্যাঙ্কে লুঠ |
ভরদুপুরে দুঃসাহসিক ব্যাঙ্ক-লুঠের ঘটনা ঘটল কেশিয়াড়িতে। ব্যাঙ্কে ঢুকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালাল একদল দুষ্কৃতী। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কেশিয়াড়ির কুকাইতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কেশিয়াড়ির কুকাই এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। বুধবার ভরদুপুরে এখানেই ডাকাতি হয়। দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ ৬-৭ জন সশস্ত্র যুবক আচমকা ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে। ৩টি মোটরবাইকে তারা এসেছিল। এক জন সোজা চলে যান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার শৈলেন রায়ের ঘরে। ম্যানেজারের কাছ থেকে টাকা তোলার স্লিপ চায়। তাঁর কাছে কেউ স্লিপ চাইছেন কেন, ভেবে অবাকই হন ম্যানেজার। পরে বন্দুক দেখিয়ে আলমারির চাবি বের করার জন্য চাপ দেয় ওই দুষ্কৃতী। ওই সময়ে ব্যাঙ্কে ৫-৬ জন গ্রাহকও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদেরও ভয় দেখায় অন্য দুষ্কৃতীরা। কয়েক জনকে মারধরও করা হয়। |
তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। দুষ্কৃতী-দলটি ১০ মিনিট ধরে ব্যাঙ্কে অপারেশন চালায়। একটি ভল্ট ও একটি আলমারি ভেঙে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা লুঠ করে পালায় বলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য। দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হন ক্যাশিয়ার সিদ্ধার্থশঙ্কর নন্দীও। দুষ্কৃতীরা যে সময়ে ব্যাঙ্কে চড়াও হয়েছিল, তখন সেখানে ছিলেন সবিতা জানা নামে এক গ্রাহক। সবিতাদেবী একটি স্ব-সহায়ক দলের সঙ্গে যুক্ত। এক দুষ্কৃতী তাঁর গলার সোনার হার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যে ভাবে ভরদুপুরে ব্যাঙ্কে ঢুকে লুঠ করে পালাল একদল দুষ্কৃতী, তাতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয় কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ব্যাঙ্ক আধিকারিক ও কর্মীদের কাছ থেকেও ঘটনার কথা শোনে পুলিশ।
|
নন্দীগ্রাম মামলায় জামিন বাতিলের শুনানি পিছোল |
নন্দীগ্রাম ‘নিখোঁজ-কাণ্ডে’ সিআইডি চার্জশিটে নাম থাকা, আপাতত জামিনে মুক্ত ৬ অভিযুক্তের জামিন বাতিলের শুনানি পিছোল। বুধবার হলদিয়ার এসিজেএম আদালতে এ ব্যাপারে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিচারক সর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় দিন পিছিয়ে আগামী ২৪ এপ্রিল শুনানি ধার্য করেন। অভিযুক্তদের সম্পর্কিত কেস-রেকর্ড এজলাসে এসে না পৌঁছনোর ফলেই এ দিনের শুনানি পিছিয়েছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী দেবদুলাল গিরি। ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল-পর্বে’ সিপিএমের বিরুদ্ধে খুন-সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। সে সময়েই জেলা পুলিশ বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের মধ্যে মহেশপুরের স্বদেশ দাস, স্বপন দাস, গোকুলনগরের কালীপদ গাড়ুদাস, বাদল গাড়ুদাস, সাগর দাস ও সাতেঙ্গাবাড়ির সন্তোষ বর্মন পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। নন্দীগ্রাম ‘নিখোঁজ-কাণ্ডে’র চার্জশিটে সিআইডি ফের ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে। জামিনে মুক্ত থাকলে ওই অভিযুক্তরা মামলার সাক্ষ্যপর্বে প্রভাব বিস্তার করতে পারেএই দাবি করে সিআইডি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হলদিয়া আদালতে তাঁদের জামিন বাতিলের আবেদন করে। বুধবার সে নিয়ে শুনানি নির্ধারিত থাকলেও তা পিছিয়ে গেল।
|
চোরাই মোটর সাইকেল-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঘাটাল শহরের কুশপাতা থেকে লাল্টু মহাপাত্র নামে মোটর বাইক চুরি-চক্রের ওই পান্ডাকে গ্রেফতার করে বুধবার ঘাটাল আদালতে তোলে পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস আগে লাল্টু মহাপাত্রের বিরুদ্ধে শহরেরই কুশপাতায় এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুন করার আভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার প্রায় এক মাস পর গোয়ালতোড়ের একটি গ্রাম থেকে লাল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ দিন জেলে থাকার পর সম্প্রতি ছাড়া পায় লাল্টু। পুলিশের দাবি, লাল্টু মোটর বাইক চুরি-চক্রের সঙ্গেও যুক্ত। কিছু দিন আগে নিমতলা থেকে স্নেহাশিস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই লাল্টুও ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
|
মঙ্গলবার রাতে ঘাটাল শহরের একাধিক অবৈধ দোকানে অভিযান চালিয়ে শতাধিক বিদেশি মদের বোতল উদ্ধার করল পুলিশ। মগরাহাট-কাণ্ডের পর পুলিশ-প্রশাসনের বারবার অভিযানের জেরে অবৈধ মদের কারবার সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঘাটালে। কিন্তু অভিযান বন্ধ হতেই অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি শুরু হয়েছে ফের। খবর পেয়ে এ দিন অভিযান চালায় পুলিশ। |