মিলল গাছ কাটার অনুমতি
প্রশাসনিক ভবনের কাজ শুরু হয়নি, ক্ষোভ খড়্গপুরে
হকুমার প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে খড়্গপুরে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, কাজ শুরুর ক্ষেত্রে অযথা গড়িমসি করা হচ্ছে। ক্ষুব্ধ একাংশ কর্মচারীও। তাঁদের বক্তব্য, গরম পড়লেই পুরনো ভবনে কাজে অসুবিধা হয়। সেই ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে শিলান্যাস হয়েছিল। অথচ এখনও প্রশাসনিক ভবন তৈরির কাজ শুরুই হল না! মহকুমা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। কাজ শুরুর আগে কয়েকটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এখন সেই প্রক্রিয়াগুলিই সম্পন্ন হচ্ছে। কেমন? জানা গিয়েছে, যেখানে নতুন ভবন তৈরি হবে, সেখানে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০টি গাছ রয়েছে। সেই গাছগুলি কাটতে হবে। গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি বন দফতরের কাছে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছিল প্রশাসন। সবদিক খতিয়ে দেখে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বন দফতর। চলতি মাসের মধ্যেই গাছ কাটার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। খড়্গপুরের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “যেখানে মহকুমার প্রশাসনিক ভবন তৈরি হবে, সেখানে বেশকিছু গাছ রয়েছে। সেগুলি না কাটা হলে কাজ শুরু অসম্ভব। সব দিক খতিয়ে দেখেই গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সুদত্ত চৌধুরি বলেন, “আগে একাধিক সংস্থা দরপত্র দেয়নি বলে কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।”
নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে খড়্গপুর মহকুমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগে নাম ছিল মেদিনীপুর সাউথ। ১৬ বছর আগে তৈরি হয় খড়্গপুর মহকুমা। ১৯৯৬ সালে পৃথক মহকুমা কার্যালয় খোলে খড়্গপুরে। খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ডের কিছু দূরে রেলের ভাড়া বাড়িতে কার্যালয় শুরু হয়। মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের পাশাপাশি খড়্গপুর মহকুমার বেশ কিছু সরকারি কার্যালয়ও আলাদা ভাবে এখানে রয়েছে। এর বাইরে আবার কিছু দফতর শহরের অন্যত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ফলে কাজ হাতে নিয়ে আসা সাধারণ মানুষ নানা সমস্যায় পড়েন। একটি কাজের জন্য তাঁদের নানা জায়গায় ঘুরতে হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে এক ছাদের তলায় সমস্ত দফতরকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা তৈরি হয়। যে জমিতে মহকুমাশাসকের কার্যালয় রয়েছে, সেটি রেলের কাছ থেকে ৩৫ বছরের জন্য লিজে পেয়েছে রাজ্য সরকার। এই লিজের জমিতে খড়্গপুর মহকুমার নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন গড়ে উঠবে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, এখানে যেমন ট্রেজারি, ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ডেপুটি লেবার কমিশনার, রেজিস্ট্রি অফিস থাকবে, তেমনই থাকবে মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, ট্রেজারি পেনশন বিভাগ প্রভৃতি। চারতলা ভবন হবে। ২৪১০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে থাকবে এক তলা ভবন। বাকি তিনটি তলার পরিসর হবে ২৪৮৭ বর্গমিটার করে। মহকুমার প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ হয়েছে ৮ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। ২০১০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক ভবনের শিলান্যাস হয়। শিলান্যাস করেন তৎকালীন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেন। ঘোষণা ছিল, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু হবে। কিন্তু সেই মতো কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ। মহকুমা প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, এই ভবন তৈরির জন্য আগে ৩ বার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। তবে কোনও বারই একাধিক ঠিকাদার সংস্থা কাজ করার ইচ্ছে দেখায়নি। ফলে ৩ বারই এই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। গত বছর ফের নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ বার অবশ্য আগের পরিস্থিতি হয়নি। কিন্তু নতুন ভবন তৈরির প্রস্তাবিত জমিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৬৩টি গাছ রয়েছে। কাজ শুরু করতে হলে স্বাভাবিক ভাবেই এই গাছগুলি কাটা জরুরি। তাই বন দফতরের কাছে আবেদন করা হয়। সবদিক খতিয়ে দেখে সেই আবেদন মঞ্জুরও করে বন দফতর। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বলেন, “গাছ কাটার অনুমতি মিলেছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.