|
|
|
|
দলিল ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ কাঁথিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
কৃষিঋণের টাকা আদায়ে গিয়ে ঋণগ্রহীতাদের হাতে লাঞ্ছিত হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের বলাগেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সুপারভাইজার কণিষ্ক রায়। বুধবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে কাঁথি-৩ ব্লকের করলদা নেহরাবাড় সমবায় কৃষি-উন্নয়ন সমিতিতে। সেখানে কৃষিঋণ আদায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কণিষ্কবাবু। ঋণ-শোধ তো দূরের কথা, ঋণগ্রহীতারা ব্যাঙ্কে জমা রাখা দলিল পর্যন্ত ফেরত চান।
তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে কোনও অবস্থাতেই কৃষকের জমি বাজেয়াপ্ত করা যাবে না বলেছেন, সেখানে ব্যাঙ্কে দলিল জমা রাখাও যাবে না। এমনকী, অনেকেই ঋণ শোধও করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কনিষ্কবাবু রীতিমতো ঘেরাও হয়ে পড়েন। তাঁকে কিছুক্ষণ টানাহেঁচড়াও করা হয়। পরে তিনি কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচেন। |
|
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি |
বলাগেড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর দলেরই বিধায়ক সমরেশ দাস। তাঁর অবশ্য দাবি, “কনিষ্কবাবুর সঙ্গে যা ঘটেছে তা একদল সিপিএম সমর্থক পরিকল্পিত ভাবে ঘটিয়েছে।” বলাগেড়িয়া ব্যাঙ্কের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার অনুপকুমার দাস অবশ্য জানান, কাঁথি-১, খেজুরি, কাঁথি-৩ ও রামনগর ব্লকের বেশ কিছু সমবায় সমিতিতেই জমা দলিল ফেরত চেয়ে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
অনুপবাবু জানান, গত আর্থিক বছরে (২০১০-১১) বলাগেড়িয়া ব্যাঙ্ক কৃষি ক্ষেত্রে ৪৫ কোটি ১৮ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ঋণ দিয়েছিল। তার মধ্যে ৯৭.১৫ শতাংশ টাকা আদায় করে রাজ্যের ১৭টি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মধ্যে প্রথম স্থানেও ছিল বলাগেড়িয়া ব্যাঙ্ক। চলতি আর্থিক বছরে (২০১১-১২) ব্যাঙ্ক ১৩০টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৭২ হাজার ২৭৫ জন কৃষককে আমন চাষের জন্য ৪৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিল।
মার্চের মধ্যে ঋণের টাকা আদায় করে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের ঋণ-প্রক্রিয়া চালুর কথা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে আগের ঋণ শোধ করতেই বেঁকে বসছেন ঋণগ্রহীতারা। জমা রাখা দলিল ফেরতের জন্যও সমবায়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্যাঙ্ক চালানোই দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে জানাচ্ছেন সমবায়-কর্তারা। |
|
|
|
|
|