ছয় মিনিটের ইনজুরি টাইমের মহানাটকের জেরে মার্সেই অবিশ্বাস্য ভাবে ইন্টার মিলানকে ছিটকে দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল।
দীর্ঘ আঠেরো বছর পর। সেই ১৯৯৩-এ, যে বার দিদিয়ের দেশঁ-র অধিনায়কত্বে ফরাসি দল ট্রফিও জিতেছিল। দেশঁ-ই এ বার মার্সেই কোচ।
ঘরের মাঠ সান সিরোতে ইন্টার মিলান প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি ম্যাচ ২-১ গোলে জিতলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে বেশি গোল করার সুবাদে দু’পর্ব মিলে ২-২ থাকা ম্যাচ জিতে নেয় মার্সেই। গত রাতে চরম নাটকীয় ভাবে ৯২ মিনিটে মার্সেইয়ের ব্রান্দাও গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। তার পরেই ম্যাচের ৯৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইন্টারের জয়সূচক গোল করেন পাজিনি। তাদের প্রথম গোল ৭৫ মিনিটে, মিলিতোর। কিন্তু প্যারিসে ইন্টার প্রথম পর্বে ০-১ হেরেছিল। ফলে সব মিলিয়ে স্কোরলাইন ২-২ থাকলেও গত কাল অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করার সুবাদে মার্সেই শেষ আটে ওঠে। দেশঁ বলেছেন, “প্রথম পর্বের মতো এই ম্যাচেও আমরা ওদের জন্য তীব্র দুঃখ ডেকে এনেছি। অনেকটা ওদের ইতালীয় স্টাইলের মতোই।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখ আবার বাসেলের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের জ্বালা মেটাতে গত রাতে সুইস প্রতিপক্ষকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে বাসেল জিতেছিল ১-০ গোলে। কিন্তু দু ’পর্ব মিলিয়ে বায়ার্ন হাসতে হাসতে শেষ আটে গেল মোট ৭-১ গোলে জিতে। নিজেদের মাঠে ১১ থেকে ৮১ মিনিটের ভেতর গোলের বন্যা জার্মান দলটির। প্রথম ও শেষ গোল নেদারল্যান্ডস তারকা আর্জেন রবেনের। জার্মানির টমাস মুলার করেন একটি গোল। ম্যাচের নায়ক অবশ্য মারিও গোমেজ। ৪৪ থেকে ৬৭ মাত্র তেইশ মিনিটের মধ্যে পরপর চারটে গোল করে বায়ার্নকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান তিনি। এত বিধ্বংসী কেন বায়ার্ন, যেখানে দু’গোলে জিতলেও তারা পরের রাউন্ডে যেত? রবেনের উত্তর, “প্রথম পর্বে হেরে পিছিয়ে থাকায় আমরা এই ম্যাচটায় একটু বেশিই ফোকাস্ড ছিলাম। যার ফল তো দেখতেই পাচ্ছে সবাই!” |