বাঁশদ্রোণীর প্রগতি পার্কে ঘরে আটকে রাখা যে শিশুটি মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছিল, তার মাকে বুধবার গ্রেফতার করা হল। কল সেন্টারের কর্মী, সাহিন বানু নামে ওই মহিলাকে পরে আলিপুর আদালতে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাহিন তাঁর আট বছরের ছেলে সাগরকে মারধর করতেন। রাতে ঘরে আটকে কাজে চলে যেতেন।
গত রবিবার চিৎপুরের একটি বাড়ি থেকে ঋষিব্রত মল্লিক নামে ছ’বছরের এক শিশু উদ্ধার হয়েছিল। তার সারা গায়ে গুরুতর আঘাত ছিল। পুলিশ জানায়, সাগরের চোট তত বেশি না হলেও তার মুখে আতঙ্কের ছাপ রয়েছে।
সাগরদের বাড়িওয়ালা নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বছর দেড়েক আগে সাহিন তাঁর বাড়িতে ভাড়া আসেন। তখন ত্রিভুবন তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী বলে পরিচয় দেন। জানান, তাঁদের ছেলে কানপুরে থাকে। মাস কয়েক আগে ছেলেকে এনে স্কুলে ভর্তি করেন।
নিমাইবাবুর কথায়, “এক দিন সাগর জানায়, ত্রিভুবন তার বাবা নয়। তার বাবার নাম সঞ্জয় খন্না।” পড়শিদের অভিযোগ, শিশুটি এ কথা বলার পরেই সাহিন তাকে মারধর শুরু করেন। নিমাইবাবু জানান, গত সপ্তাহে পরিচারিকাকে ছাড়িয়ে দেন সাহিনা। তার পর থেকে শিশুটিকে একা বাড়িতে আটকে চাকরিতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবার সাহিন কাজে গেলে তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তার বাবা সঞ্জয়কে খবর দেয় পুলিশ।
সঞ্জয় জানান, ২০০১ সালে বিয়ের পরে ২০০৪-এ সাহিন কানপুরের বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আইনত বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে সাগর তাঁর সঙ্গেই থাকত বলে সঞ্জয়ের দাবি। সঞ্জয়ের কথায়, “আমার মা-ই সাগরের দেখভাল করতেন। ২০১১ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে ছেলেকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছিলাম না। তখনই সাহিন ওকে দেখভাল করবে বলে নিয়ে যায়।” পুলিশ সূত্রের খবর, ছেলেটিও বাবার কাছে ফিরে যেতে চেয়েছে। |