ওয়েভার স্কিমের সুযোগ পেয়েও যে সব বড় প্রতিষ্ঠান বকেয়া কর মেটাবেন না, তাঁদের কড়া ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বাজেট বিতর্কের জবাবি ভাষণে তিনি বলেন, “ওয়েভার স্কিমে এ পর্যন্ত ৪২,৪০৫ জন বকেয়া কর দিয়েছেন। কোটি টাকার উপরে বাকি এমন এক জনও কর দেননি।” তিনি বলেন, “৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।” কংগ্রেসের মালা রায় বলেন, “চলতি বছরে অধিকাংশ সময় ‘এমবার্গো’ রেখে পুর-উন্নয়ন স্তব্ধ করা হয়েছে। আগামী বাজেটে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়।” বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী বলেন, “তৃণমূল নির্বাচনী ইস্তাহারে বলেছিল বস্তি উন্নয়নে কাজ করবে। তা করেনি।” মেয়র বলেন, “পুরসভায় সব ক্ষেত্রে রাম রাজত্ব আছে বলে মনে করি না। কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়ে থাকে। তা সংশোধন করতে হবে।” বিতর্ক শেষে বাজেট পাশের সময় ওয়াক আউট করেন বামফ্রন্টের সদস্যেরা।
|
বিশরপাড়ার হামলা, খুনে গ্রেফতার মোট ৪ |
বিশরপাড়ায় দোলের দিনের হামলার ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার হল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কুন্তক ওরফে বাবু চক্রবর্তী। বুধবার এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ তাকে পাকড়াও করে লেকটাউন থানা-এলাকার দক্ষিণদাঁড়িতে। এই নিয়ে ওই ঘটনায় চার জন অভিযুক্ত ধরা পড়ল। গত বৃহস্পতিবার, দোলের দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার বিশরপাড়া নবজীবন কলোনিতে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল অসীম দামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল এক দল মত্ত যুবক। অভিযোগ, অসীমবাবুর ভাগ্নির শ্লীলতাহানি করে তারা। প্রতিবাদ করায় অসীমবাবুকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্রে কুপিয়ে বাড়ির সামনে আধমরা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। রবিবার কলকাতার হাসপাতালে তিনি মারা যান। মঙ্গলবার, অর্থাৎ ঘটনার ছ’দিনের মাথায় মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ ঘোষ ধরা পড়ে বিশরপাড়া-কোদালিয়া স্টেশনের কাছে। গ্রেফতার হয় দেবু মুখোপাধ্যায় ও তপন চন্দ নামে আরও দু’জন। আর এ দিন জালে পড়ল কুন্তক। পুলিশ-সূত্রের খবর: বিশরপাড়া-কোদালিয়া স্টেশন লাগোয়া সপ্তগ্রামের বাসিন্দা যুবকটি ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল। অভিজিৎ-দেবু-তপনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা তার হদিস পান। অভিযুক্তদের এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের দশ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখতে বলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, হামলা, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
বিশিষ্ট লেখক হিমানীশ গোস্বামী প্রয়াত হলেন। বুধবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর এক কন্যা বর্তমান। জীবনে বহু বিচিত্র চাকরি করেছেন বিমানবাহিনীর করণিক, প্রকাশনা-কর্মী থেকে সাংবাদিকতা। বহু বছর ধরে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার কর্মী ছিলেন। সেই সময় দাবা নিয়ে তাঁর বেশ কিছু লেখা বাঙালি সমাজে দাবা খেলাকে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় করে তোলে। এ ছাড়া মূলত রম্যরচনা লিখতেন। শব্দ ও ভাষার নানা মজার দিক নিয়েও লিখেছেন তিনি। রসসাহিত্য রচনার পাশাপাশি কার্টুন আঁকার ক্ষেত্রেও অনায়াস দক্ষতা ছিল তাঁর। আবার ফটোগ্রাফি চর্চাতেও হিমানীশবাবুর বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাঁর লেখা ৫০টি বই রয়েছে। |