|
|
|
|
রেল বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ হল না জেলার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
প্রত্যাশা নিয়ে রেলবাজেট দেখতে টিভির সামনে বসে হতাশ হলেন বীরভূমের বাসিন্দারা। এ দিন যা জানা গিয়েছে, তাতে বীরভূমের প্রাপ্তি শূন্য। অণ্ডাল-সাঁইথিয়া ডেলি প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্যের কথায়, “এ বারের রেল বাজেটে আমরা কিছুই পেলাম না। বীরভূমের মানুষ যে প্রত্যাশা নিয়ে রেল বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তা অপূর্ণ থেকে গেল।” কী প্রত্যাশা ছিল জেলার মানুষের? পূর্ব রেলের রামপুরহাট স্টেশনের কথাই ধরা যাক। রামপুরহাটের ৪ ও ৫নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাজে হাত পড়েনি। বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন এবং সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের ট্রেনগুলিকে অধিকাংশ সময়েই প্লাটফর্মের বাইরে বা অন্যান্য স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আমোদপুর-কাটোয়া শাখায় ন্যারোগেজ লাইনের বদলে ব্রডগেজ করার প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু রেলমন্ত্রীর বক্তৃতায় তার উল্লেখ ছিল না। গত বাজেটে সিউড়ি থেকে প্রান্তিক রেলপথের ঘোষণা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তাও খুব ধীর গতিতে। অণ্ডাল-পলাশস্থলী শাখায় ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু করার দাবি ছিল। কিন্তু এই বাজেটে তার উল্লেখ নেই। এ ছাড়াও এই জেলার উপর দিয়ে খানা থেকে ঝাড়খণ্ডের গুমানি পর্যন্ত ট্রেনপথ বৈদ্যুতিকরণের কাজ চলছে। কিন্তু ধীর গতিতে কাজ চলায় তা কবে শেষ হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও দূরপাল্লার ট্রেনগুলির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামানোর দাবি, লাভপুর স্টেশনকে মডেল করার, রামপুরহাট থেকে আসানসোল পর্যন্ত ট্রেন চালু করার দাবি থাকলেও তা এবার মিটল না। রেল বোর্ডের সদস্য তথা জেলার তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “এ বার রেল বাজেট ভাল করে পড়তে হবে। তারপরেই বীরভূমের জন্য কী উল্লেখ করা হয়েছে তা জেনে মন্তব্য করব।” |
|
|
|
|
|