সেতু ভেঙে দুর্ভোগ পরীক্ষার্থীদের
সেতু ভেঙে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। তাদের সাইকেলে কিংবা যন্ত্র চালিত রিকশা করে ৬-৭ কিমি দূরে গিয়ে বাস ধরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন সময়ে সজাগ হলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হত না।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ময়ূরেশ্বর থানা এলাকার কোটাসুর-রামনগর সড়কের উপরে বহড়া গ্রাম লাগোয়া সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। মঙ্গলবার সেই ফাটল বেড়ে সেতুটির একটা বড় অংশ ভেঙে যায়। তার পর থেকে ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ওই রুটে নয়, বহড়া-বেলিয়া রুটেও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরীক্ষার্থী বড়ডিবুর গ্রামের রিম্পা মণ্ডল, কাঞ্চনা গ্রামের তীর্থ ভল্লাদের ক্ষোভ, “ষাটপলশা হাইস্কুলে পড়ি। এই স্কুল থেকে ১৪৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। সাঁইথিয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ষাটপলশা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শুনি সেতু ভাঙার জন্য বাস বন্ধ। শেষ পর্যন্ত সাত কিমি সাইকেলে গিয়ে কোটাসুরে বাস ধরি।” ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সায়ন্তন ঘোষ বলেন, “বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী বাসেই যায়। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় কষ্ট করে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয়েছে।”
ময়ূরেশ্বরে ভাঙা সেতুতে আটকে গিয়েছে ট্রাক। ছবি: অনির্বাণ সেন।
একই ভাবে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে লোকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের। ওই স্কুল থেকে ১৯২ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। মূলত বহড়া-বেলিয়া রুটের বাসে করে তাদের সাঁইথিয়ায় যেতে হয়। কিন্তু ওই রুটের ছোট গাড়িগুলি ভাঙা সেতু এড়িয়ে বহড়া গ্রামের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করলেও পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার গাড়িগুলি বড় হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারেনি। ডাঙাপাড়ার সন্তু দাস, ঢেকার সমরেশ মণ্ডলদের কথায়, “যন্ত্র চালিত রিকশায় ৬ কিমি দূরে কলেশ্বর মোড়ে গিয়ে বাস ধরতে হচ্ছে। সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারব কি না দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দে বলেন, “সমস্যার কথা জানা ছিল না। তাই পরীক্ষার্থীদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম।” ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “তিন দিন আগেই ফোনে জেলা পূর্ত (সড়ক) দফতরে ফাটলের কথা জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বাস চালানোর জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” সাঁইথিয়া বাসমালিক কল্যাণ সমিতির সহসম্পাদক পতিতপাবন দে বলেন, “সেতু সংস্কার না হলে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প রুটে বাস চালানোর ব্যবস্থা করব।” জেলা পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র জাহ্নবী কোনার বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সেতু সংস্কার করা হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.