খেলার টুকরো খবর |
|
লাল লাঠি এবং লাঠি গাদাগাদি |
|
এক সময় রাখাল বালকদের মধ্যে এই খেলা দু’টির ব্যাপক প্রচলন ছিল। মাঠে গরু চরাতে গিয়ে সময় কাটানোর জন্য রাখালেরা ওই খেলায় মেতে উঠত। এখন যন্ত্রের বহুল ব্যবহারের জন্য গৃহস্থের গোয়াল থেকে গরু হারিয়ে গিয়েছে। কমে গিয়েছে গোচারণ ভূমিও। তাই গরুর পাল নিয়ে রাখালদের মাঠে যাওয়ার ছবিটাও হারিয়ে যেতে বসেছে। হারিয়ে যাচ্ছে রাখালদের তৈরি খেলাগুলিও।
‘লাল লাঠি’ খেলায় ‘মোড়’ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি বেশ বৈচিত্রপূর্ণ। নিয়ম হল, সমস্ত রাখালকে তাদের গরু চরানোর লাঠিগুলি (যার প্রচলিত নাম ‘পাঁচন’) একত্রিত করতে হবে। এরপর সমস্ত পাঁচন একসঙ্গে উপরের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হবে। যার লাঠি সব থেকে নিচে পড়বে, সে নিরাপদ অবস্থানে অর্থাৎ ‘মোড়’ আওতার বাইরে চলে যাবে। এই ভাবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় একে-একে অন্যরা মোড় আওতার বাইরে চলে যাওয়ার পর শেষজনকে ‘মোড়’ মেনে নিতে হবে।
এরপর একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মোড়ধারীকে তার পাঁচনটির দুই প্রান্ত দু’ হাত দিয়ে ধরে মাথার উপরে রাখতে হবে। অন্যদের মধ্যে একজন নিজের পাঁচন দিয়ে মোড়ধারীর পাঁচনটিকে দূরে ছুঁড়ে দেবে। বাকিরাও নিজ-নিজ পাঁচন দিয়ে মোড়ধারীর পাঁচনটিকে আরও দূরে পাঠানোর চেষ্টা করবে।
তবে এক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজন আছে। খেলার শুরুতেই জমির মধ্যে পড়ে থাকা কেটে নেওয়া ধান গাছের গোঁড়ার অংশ, ইঁট বা পাথরের কুচি কিংবা গাছের ডালপালাকে নিরাপদ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মোড়ধারীর পাঁচন দূরে পাঠানোর সময় অন্যান্যদের নিজেদের পাঁচন ওই সব নিরাপদ স্থানে স্পর্শ করিয়ে রাখতে হবে। না হলে মোড়ধারী যাকে ছোঁবে তাকে মোড় খাটতে হবে। তবে মোড়ধারী শুধু কাউকে ছুঁলেই রেহাই মিলবে না। দূরে পাঠানো পাঁচন মাথার উপর রেখে সাবধানতার সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে। পাঁচন পড়ে গেলে ফের অন্যরা একই প্রক্রিয়ায় দূরে পাঠানোর সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে যাকে ছোঁয়া হয়েছে সে ওই সুযোগ পাবে না। মোড়ধারী মাথায় করে পাঁচন নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার পর মোড় খাটতে হবে তাকে।
লাঠি গাদাগাদি খেলায় মোড় নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ভিন্ন। এক্ষেত্রে বেছে নেওয়া হয় কোনও ভেজা জমি অথবা জল শুকিয়ে যাওয়া পুকুর-গোড়ে। একজন নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে নিজের পাঁচন ছুঁড়ে নরম মাটিতে পুঁতে দেবে। তারপর একে-একে অন্যেরা ওই পাঁচন লক্ষ্য করে নিজেদের পাঁচন ছুঁড়বে। উদ্দেশ্য হল ওই পাঁচন স্পর্শ করা। যার পাঁচন প্রথম লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে তাকেই মোড় খাটতে হবে। এরপর লাল লাঠির মতই চলবে দূরে পাঠানোর প্রক্রিয়া। একই ভাবে মোড়ধারীকে ঘোচাতে হবে নিজের মোড়।
ছোটবেলায় গরু চরাতে গিয়ে নিয়মিত খেলা দু’টি খেলেছেন ময়ূরেশ্বরের লোকপাড়ার তরুণ মুদি, ডাঙাপাড়ার গৌরাঙ্গ ধীবর। তারা বলেন, “গরু চরাতে যখন বিরক্ত লাগত তখন আমরা ওই দু’টি খেলায় মেতে থাকতাম। এতটাই মেতে থাকতাম যে গরু অন্যের ফসল খেয়ে নিত। তখন হয় বকা খেতাম, না হলে জমির চাষিরা গরু খোঁয়াড়ে দিয়ে দিত। তখন টাকা দিয়ে সেই গরু ছাড়াতে হত। এত কিছুর পরও কিন্তু আমরা পরের দিনই সব ভুলে ফের ওই খেলায় মেতে উঠতাম।”
|
(হারিয়ে যাওয়া খেলা পর্ব ১২)
|
রাজেশ স্মৃতি ক্রিকেট |
|
বোলপুরে রাজেশ স্মৃতি ক্রিকেট। |
বোলপুরের শ্রীনিকেতন পল্লিশিক্ষা ভবনের পরিচালনায় ৬ মার্চ থেকে সংস্থার মাঠে শুরু হয়েছে ছয় দলের রাজেশ কাঁড়ার স্মৃতি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। যোগদানকারী দলগুলি হল বোলপুর ইয়ং সাউথ ক্লাব, জেলা স্পোর্টস আ্যসোসিয়েশন, রামপুরহাট এ টু জেড, কলকাতা ব্লুজ, বর্ধমান ডি এস এফ এবং চুঁচুড়া ক্রিকেট একাদশ। ১৮ মার্চ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা হয়। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক ওয়াসিম ইফতিয়ার জানান, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলকে ট্রফি-সহ যথাক্রমে ৬০০০ ও ৪০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
|
চ্যাম্পিয়ন লোবা |
দুবরাজপুরের গাঁড়া আজাদ হিন্দ ক্লাব পরিচালিত ১৬ দলের নক আউট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল স্থানীয় লোবা ক্রিকেট দল। ৭ মার্চ স্থানীয় মুসলিমপাড়া সংলগ্ন মাঠে ওই খেলা হয়। প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুবরাজপুর নায়কপাড়া ক্রিকেট দল ১৬ ওভারে ১২১ রান করে অল আউট হয়ে যায়। লোবা ক্রিকেট দল ৪ উইকেটে ১২২ রান সংগ্রহ করে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছয়। ম্যান অফ দ্য সিরিজ ও ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন যথাক্রমে লোবার পাপাই খাণ্ডাইত ও শান্তনু ঘোষ। হাজির ছিলেন সংশ্লিষ্ট পদুমা পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ-প্রধান যথাক্রমে শিউলি ডোম এবং কামাল হোসেন খান, আয়োজক সংস্থার সম্পাদক হামিদ হোসেন খান প্রমুখ। অন্যতম উদ্যোক্তা মাতিন খান ও ইমরান খান জানান, চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দলকে ট্রফি-সহ যথাক্রমে ৫০০০ টাকা ও ৩০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
|
• পাত্রসায়র স্পোর্টিং ইউনিয়ন পরিচালিত রামসুধীরচন্দ্র উইনার্স ট্রফি ও নেউল দত্ত রানার্স কাপ নক আইট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বেলিয়াতোড় ক্রিকেট একাদশ। রবিবার ফাইনালে তারা সোনামুখী ক্রিকেট কর্নারকে ৮ রানে হারিয়েছে। আয়োজক ক্লাবের তরফে অর্ক মুখোপাধ্যায় জানান, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেলিয়াতোড় ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে। জবাবে সোনামুখী ক্রিকেট কর্নার ১৫.৩ ওভারে ১৬১ রানে অল আউট হয়ে যায়। প্রতিযোগিতায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ সিরিজ নির্বাচিত হন সোনামুখীর বুম্বা বিশ্বাস। ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছে বেলিয়াতোড়ের সুপ্রতীক সেন।
|
|
• বাঁকুড়া প্লেয়ার্স অ্যাসেম্বলি’র উদ্যোগে শুরু হল ‘কালীকানন্দ সিনহা’ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল মিদ্দা জানান, এ বছর এই টুর্নামেন্টের ৩৪তম বর্ষ। বাঁকুড়া শহরেই মোট আটটি দল যোগ দিয়েছে। বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৫ মার্চ এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলা হবে।
|
• বাঁকুড়া প্লেয়ার্স অ্যাসেম্বলি’র উদ্যোগে শুরু হল কালীকানন্দ সিংহ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। উদ্যোক্তা সংগঠনের সম্পাদক শ্যামল মিদ্দা জানান, এ বছর এই টুর্নামেন্টের ৩৪তম বর্ষ। বাঁকুড়া শহরেই মোট আটটি দল যোগ দিয়েছে। প্রতিটি খেলাই বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৫ মার্চ এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলার সম্ভাব্য দিন বলে ধরা হয়েছে।
|
• পাত্রসায়র স্পোর্টিং ইউনিয়ন পরিচালিত রামসুধীরচন্দ্র উইনার্স ট্রফি ও নেউল দত্ত রানার্স কাপ নক আইট ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল বেলিয়াতোড় ক্রিকেট একাদশ। রবিবার ফাইনালে তারা সোনামুখী ক্রিকেট কর্নারকে ৮ রানে হারিয়েছে। আয়োজক ক্লাবের তরফে অর্ক মুখোপাধ্যায় জানান, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেলিয়াতোড় ১৬ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে। জবাবে সোনামুখী ক্রিকেট কর্নার ১৫.৩ ওভারে ১৬১ রানে অল আউট হয়ে যায়। প্রতিযোগিতায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ সিরিজ নির্বাচিত হন সোনামুখীর বুম্বা বিশ্বাস। ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছে বেলিয়াতোড়ের সুপ্রতীক সেন।
|
|
পুরুলিয়ায় ক্রিকেট।
|
• সিএবি পরিচালিত আন্তঃজেলা সিনিয়র ক্রিকেটে এফ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হল পুরুলিয়া। গত ৭ মার্চ পুরুলিয়া হিলভিউ ময়দানে গ্রুপের শেষ খেলায় পুরুলিয়া ৩৬ রানে বাঁকুড়াকে পরাজিত করে। মানভূম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ক্রিকেট সচিব হিমাদ্রি বন্দোপাধ্যায় জানান, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪১ রান তোলে পুরুলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাঁকুড়া ২০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। পুরুলিয়ার পক্ষে সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় ৩৯ রান করেন। মান্নি চৌধুরী ৩৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। পরে পুরুলিয়া চন্দননগর ও উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে খেলবে। খেলাগুলি হবে বর্ধমানে।
• মেজিয়ার গোস্বামী গ্রামের নেতাজি সঙ্ঘের নক আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়ে গেল। গত রবিবার ওই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয় ওই সঙ্ঘের মাঠে। টুর্নামেন্টে গঙ্গাজলঘাটি থানার খাটিয়ালা স্পোর্টিং ক্লাব জয়লাভ করেছে। উদ্যোক্তা সংগঠনের সম্পাদক অসিত ভট্টাচার্য বলেন, “প্রতিযোগিতায় মোট আটটি দল যোগ দিয়েছিল।”
• শশীভূষণ প্রসাদ যাদব স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হল নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায়। গত ১১ মার্চ পারবেলিয়া ফুটবল ময়দানে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি। প্রতিযোগিতায় বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের মোট ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী ম্যাচে পারবেলিয়া আদিবাসী ক্লাব ২-১ গোলে সরস্বতী ক্লাবকে পরাজিত করে। ১ এপ্রিল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
|
বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে হয়ে গেল রথীন নাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
সানরাইজ ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রামধনু সঙ্ঘ। |
|
|