টুকরো খবর
‘ধর্ষিতা’র ডাক্তারি পরীক্ষায় ‘বিলম্ব’
শনিবার সকালে চন্দ্রকোনা রোডের কিয়াবনি এলাকায় এক আদিবাসী তরুণী বধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। রাতেই গ্রেফতার হয়েছিল শান্তনু ঘোষ নামে অভিযুক্ত সার ব্যবসায়ী। রবিবার ধৃতকে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ৪ দিন পুলিশ হেফাজতেরও নির্দেশ হয়। শনিবার রাতেই ওই বধূকেও নিয়মমাফিক মেডিক্যাল টেস্টের জন্য চন্দ্রকোনা রোডের দ্বাড়িগেড়িয়া ব্লক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই অজুহাতে ব্লক হাসপাতাল রবিবার সকালেই তাঁকে পাঠিয়ে দেয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। মেডিক্যাল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানেও অত্যন্ত জরুরি সেই মেডিক্যাল টেস্ট হতেই লেগে গেল তিন দিন। মঙ্গলবার সবে মেডিক্যাল টেস্ট হল ওই বধূর। এই মারাত্মক বিলম্বে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণে সমস্যা হতে পারেএই আশঙ্কায় এবং প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালেই স্থানীয় বাসিন্দারা কিয়াবনিতে মেদিনীপুর-রানীগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। পরে পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে অবরোধ তোলে। পুলিশের দাবি, নিয়ম মেনে এবং দ্রুততার সঙ্গেই মেডিক্যাল টেস্টের জন্য ওই বধূকে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। তার পরেও বিলম্ব কেনতা বুঝতে পারছে না পুলিশও। দ্বাড়িগেড়িয়া ব্লক হাসপাতালের ইনচার্জ দীপক কুইল্যার বক্তব্য, “শনিবার রাতে পুলিশ ওই বধূকে আমাদের এখানে পাঠালেও ডাক্তার না থাকায় রেফার করতে হয়।” আর মেদিনীপুর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ শুদ্ধধন বটব্যালের অবশ্য বক্তব্য, “রবিবার প্রাথমিক পরীক্ষা হয়েছিল। মঙ্গলবার চূড়ান্ত রিপোর্ট হয়েছে। রিপোর্ট পুলিশের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়েছে।”

আক্রান্ত পুলিশ
‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এক ব্যক্তিকে গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। ভাঙচুর চালানো হয়েছে পুলিশের দু’টি গাড়িতে। মঙ্গলবার সকালে দাঁতনের মালপাড়া গ্রামের ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেলদার এএসআই কাজল সিংহ, দাঁতনের এসআই মোল্লা আব্দুল খালেক, এএসআই রাজকুমার নন্দী-সহ ছ’জন পুলিশকর্মী। গ্রামবাসীদের মারধরে জখম শ্যামল সরেন নামে ওই ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিকে ওডিশার বালেশ্বরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন শ্যামল। লোকজন তাঁকে জেরা এবং মারধর করে। এ দিন শ্যামলও কয়েক জনের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কয়েক জনকে আঘাত করেন। এর পরেই তাঁকে ধরে শুরু হয় গণপিটুনি। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা বাধা দেন। ঘিরে রাখা হয় পুলিশকর্মীদের। দাঁতন ও বেলদা থানা থেকে যায় পুলিশ। হাজির হন দাঁতন ১-এর বিডিও জ্যোতি ঘোষ। এর পরেই পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চালানো হয় দু’টি গাড়িতে। পুলিশ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। কেশিয়াড়ির বাঘাস্তি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.