নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
স্টেশন চত্বর থেকে বেঁহুশ অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করেছিল রেল পুলিশ। পরে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন স্বামী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ট্রেনে মাদক মেশানো খাবার খেয়েই এই পরিণতি। |
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই যাত্রীর নাম অজয় ভট্টাচার্য (৫৫) ও গৌরী ভট্টাচার্য। বাড়ি হাওড়ার বাগনান থানার দেউলটিতে। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট স্টেশনের অনুসন্ধান কাউন্টারের সামনে তাঁদের অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে রেল পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে দু’জনকে উদ্ধার করে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতের দিকে মারা যান অজয়বাবু। তাঁর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। হাসপাতালের চিকিৎসক বঙ্কু দত্ত বলেন, “মহিলার এখনও স্বাভাবিক চেতনা ফেরেনি। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, ভট্টাচার্য দম্পতির সঙ্গে কোনও মালপত্র ছিল না। তবে হাওড়া স্টেশন থেকে কাটা সোমবার বিকেলের হাওড়া-রামপুরহাট রুটের টিকিট পাওয়া যায়। এ ছাড়া, একটি মোবাইল নম্বর মেলে। ওই নম্বরের সূত্র ধরেই দু’জনের পরিচয় জানা যায়। তাঁদের ছেলে পল্টু টেলিফোনে বলেন, “দেউলটি স্টেশন-লাগোয়া এলাকায় বাবা-মা সব্জির দোকান চালান। থাকেন সেখানেই। দু’দিন আগে ওঁরা মায়াপুর গিয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে দেউলটি থেকে তারাপীঠ যাবেন বলে বেরোন।”
অন্য দিকে, এ দিন সকালে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, বেড খালি থাকা সত্ত্বেও গৌরীদেবীকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “কেন এমন হল খোঁজ নিয়ে দেখব।”
সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইন কিংবা উত্তরবঙ্গগামী ট্রেন লাইনে একের পর এক মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুঠের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি রামপুরহাট স্টেশনে ছ’মাসের ব্যবধানে ৬টি পৃথক ঘটনা ঘটল। ওই সমস্ত রুটের যাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। |