|
|
|
|
নেতাকে ফাঁসানোর নালিশ সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
খাগরাবাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শরৎচন্দ্র রায়কে খুনের ঘটনায় ধৃত সিপিএম নেতা সফিজউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী তথ্য উদ্ধার করেছে তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠল। সোমবার ওই মামলায় অভিযুক্ত সিপিএমের কোচবিহার উত্তর জোনাল কমিটির সম্পাদক সফিজউদ্দিন আহমেদকে জেলা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত সিপিএম নেতার আইনজীবীদের তরফে আদালতে বলা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সফিজউদ্দিনকে ফাঁসানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগেও তাঁর নাম নেই। ছয় দিন তাকে পুলিশ হেফাজতে থাকার পরেও খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি। গ্রেফতারের পর ঘটনায় জড়িত থাকার কী প্রমাণই বা পুলিশ পেয়েছে? সেই সঙ্গে সফিজউদ্দিনের আইনজীবীদের তরফে আদালতে বলা হয়, ঘটনার পর মৃতের ছেলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যে বিবৃতি দেন তাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগের ইঙ্গিত রয়েছে। পুলিশি তদন্তে এ সব নিয়ে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক আইনজীবী সংঘের ৩৬ জন আইনজীবী আদালতে সফিজউদ্দিনের হয়ে জামিনের আবেদন জানান। ওই আইনজীবীদের পক্ষে পার্থসারথী দেব বলেন, “ওই মামলায় সফিজউদ্দিনকে রাখার মতো কোনও তথ্য পুলিশ এ দিন আদালতের সামনে দিতে পারেনি।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলার তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং পুলিশের তদন্তে বহু তথ্য উঠে এসেছে দাবি করে সরকারি আইনজীবী জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানির পর ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অংশুমান চট্টোপাধ্যায় সফিজউদ্দিনকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দু’জনের জামিনের আবেদনও এ দিন খারিজ হয়। তাঁরা হলেন আলতাফ হোসেন ও গণেশ বরুয়া। খাগড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলতাফকেও পুলিশ ৬ মার্চ থেকে সফিজউদ্দিনের সঙ্গেই নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল। গণেশ বরুয়াকেও অবশ্য জেল হেফাজত থেকে সরাসরি এ দিন আদালতে তোলা হয়। তাদের আইনজীবীও অভিযুক্তরা কোনও ভাবেই ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি করেন। ধৃত ৩ জনকেই ২৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৩ মার্চ শনিবার বাড়ি ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা গুলি করে খাগড়াবাড়ি অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শরৎবাবুকে খুন করে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সিপিএমের জোনাল সম্পাদক সফিজউদ্দিন আহমেদ ও আলতাফ হোসেনকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধরা হয় গণেশ বরুয়াকে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস শুধু বলেন, “ওই ঘটনায় ৩ জনকে ধরা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” |
|
|
|
|
|