|
|
|
|
অনশন-আন্দোলন শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দিনহাটা |
ছিটমহল বিনিময়ের দাবি জোরদার করতে অনশন আন্দোলনকে হাতিয়ার করল ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি। সোমবার ওই দাবিতে কোচবিহারের দিনহাটায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন কমিটির সহকারী সম্পাদক-সহ ৯ জন সদস্য। দিনহাটা মহকুমাশাসকের দফতরের কাছে সংহতি ময়দানে তাঁরা অনশনে বসেছেন। এদিনের অনশনের ব্যাপারে দিনহাটার মহকুমা শাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “ঘটনাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।” ওই কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলছে। ফলে ভারত ও বাংলাদেশ দুইদেশের ছিটমহল এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। ভোটাধিকার থেকে রেশন কার্ড তারা কোনও সুবিধেই পাচ্ছেন না। নাগরিকত্ব না থাকায় চিকিসা, চাকরির মতো নানা সুযোগ থেকেও তারা পুরোপুরি ভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারপরেও ছিটমহল বিনিময়ের ব্যাপারে আখেরে কার্য্যকর কোনও সমাধান হচ্ছে না। |
|
ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
ওই কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ছিটমহল বিনিময়ের দাবি নিয়ে টালবাহানা চলছে। নাগরিক পরিষেবার কোনও সুবিধে তারা পাচ্ছেন না। ওই বাসিন্দাদের সমস্যা মেটাতে আমরা ৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছি। তার যে কোনও একটি কার্য্যকর না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব।” কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, দ্রুত ছিটমহল বিনিময় কার্যকর করার ব্যাপারে ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাজেট বক্তব্যে ছিটমহল প্রসঙ্গ রাখা। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদল বৈঠক করে মতামত যাচাই। ছিটমহল বিনিময় নিয়ে রাজ্য সরকারের সম্মতির লিখিত ঘোষণা। ছিটমহলের বাসিন্দাদের নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিত করা। অমরনাথ অথবা হজযাত্রার সরকারি অনুমতি দান। ভারতীয় ছিটমহলের জন্য বাজেটে বরাদ্দ ঘোষণা এবং পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করা। কমিটির সহকারী সম্পাদক দীপ্তিমানবাবু বলেন, “ওই দাবিপত্র প্রশাসনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছে। রাজ্যই পশ্চিমবঙ্গের জমি কমে যাবে যুক্তিতে ছিটমহল বিনিময়ে আপত্তি করছে বলে সংবাদমাধ্যমে দেখেছি।” |
|
|
|
|
|