|
|
|
|
এমএমএস: এ বার উঠল দেহব্যবসার অভিযোগ |
ধরা পড়েনি ধর্ষণে অভিযুক্ত, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ছবি তুলে ছড়ানোর ঘটনা জানাজানি হতেই উঠল আলিপুরদুয়ারের কিছু হোটেলে দেহ ব্যবসা সহ নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ। পরিচয়পত্র জমা না-দিয়ে শহরের একটি হোটেলে কেমন করে যুবক এক কিশোরীকে নিয়ে উঠল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যেও। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপ জয়সোয়াল বলেন, “ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে ভিডিও তোলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত মধ্য মরিচবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আসাদুরাজ্জামান পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার রেলগেট লাগোয়া ওই হোটেল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হোটেলের রেজিস্ট্রার। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর কোচবিহার জেলার মধ্য মরিচবাড়ির হাতুড়ে চিকিৎসক আসদুরাজ্জামান তাঁদের গ্রামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দিদির বাড়িতে পৌছে দেওয়ার নাম করে একটি হোটেলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। সেখানে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ছাত্রীর ছবি তুলে বাইরে ছড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ছাত্রীর পরিবারের লোকজন। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই আলিপুরদুয়ার শহর এলাকায় কিছু হোটেলের কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আলিপুর দুয়ার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সমীরণ পাল ও বিষ্ণু ভৌমিক বলেন, “শহরে ওই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অতিথিদের রাখার আগে কেন সচিত্র পরিচয়পত্র এবং ফোন নম্বর রাখা হয়নি সেটাও পুলিশের তদন্ত করে দেখা দরকার। ওই ধরনের ঘটনায় শহরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।” নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক জন জানান, শহরের কয়েকটি হোটেলে পরিচয়পত্র ছাড়া কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। সেখানে দেহ ব্যবসা থেকে অনেক কিছুই চলছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় কেমন করে দিনের পর দিন ওই ঘটনা চলছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “শহরের কয়েকটি হোটেলে দেহ ব্যবসা চলছে। বিষয়টি পুলিশ জানে না এমন নয়। হঠাৎ অভিযানও চলে। কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সোমবার বিষয়টি রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজিকে জানানো হয়েছে।” আলিপুরদুয়ার স্টেশন রোডের যে হোটেলে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার মালিক সুশান্তকুমার দত্ত প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে প্রতিবেদকের কাছে আপত্তিকর এমএমএসের ফুটেজে তাঁর হোটেলের রুমের ছবি দেখে স্বীকার করেন সেটা ৯ নম্বর রুম। তিনি বলেন, “কবে ওই ছেলে ও মেয়েটি এসেছিল সেটা মনে নেই। একটি ভুল হয়েছে আমরা হোটেলে অতিথিদের রাখার সময় পরিচয় পত্র রাখি না। ভাবতে পারিনি ওই ধরনের কাণ্ড এখানে ঘটতে পারে।” |
|
|
|
|
|