প্রায় দেড় বছর আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ‘নিখোঁজ’ হওয়া এক বধূকে উদ্ধার করল পুলিশ। ওই বধূকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার ইঁদপুর থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের। ধৃত ব্যক্তির নাম বাপি বাউড়ি। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। ঊর্মিলা মাণ্ডি নামে ওই বধূর শ্বশুরবাড়িও ওই সেখানে। রবিবার সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর গ্রাম থেকেই পুলিশ দু’জনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে স্বামীর ঘর ছেড়ে তাঁরই পড়শি বাপি বাউড়ির সঙ্গে ‘পালিয়ে’ যান ঊর্মিলা মাণ্ডি। গোপনে তাঁরা বিয়েও করেন বলে বাপি বাউড়ির পরিবারের দাবি। সেই সময় ওই বধূর স্বামী তাঁর স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঊর্মিলা বা বাপি কারও খোঁজ মেলেনি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়া জেলা আদালতে ঊর্মিলার স্বামী মোহন মাণ্ডি বাপি বাউড়ির বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন। এত দিন ফেরার থাকার পর দিন কয়েক আগে ঊর্মিলা ও বাপি গ্রামে ফিরেছিলেন। পুলিশ খবর পেয়েই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁদের ধরে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই বধূর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাপি বাউড়িকে ধরা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং উদ্ধার হওয়া ওই বধূ, দু’জনকেই সোমবার আদালতে তোলা হয়।” এ দিন খাতড়া আদালত দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। অভিযুক্ত যুবকের বাবা হারাধন বাউড়ি অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে ঊর্মিলা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে।”
|
বরযাত্রী বোঝাই পিকআপ ভ্যান উল্টে মৃত্যু হল দু’জনের। রবিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০এ জাতীয় সড়কে, হুড়া থানার লধুড়কা গ্রামের কাছে। মৃতেরা হল দীপক মাহাতো (১২) ও অম্বুজ মাহাতো (১৬)। দু’জনের বাড়ি কাশীপুর থানার মুদিডি গ্রামে। রবিবার রাতে পিকআপ ভ্যানে মুদিডি গ্রাম থেকে পুরুলিয়া মফস্সল থানার বিড়গিড়ি গ্রামে বিয়েবাড়ি যাচ্ছিলেন জনা ১৫-১৬ জন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। রাতেই আহতদের পাঠানো হয়েছে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দীপককে মৃত বলে জানিয়ে। আর বাঁকুড়া মেডিক্যালে মৃত্যু হয় অম্বুজের। |