একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার শাখা অফিসে ডাকাতি চালাল কয়েক জন দুষ্কৃতী। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকায়। ওই অফিসের ম্যানেজার সঞ্জয়কুমার শ্রীবাস্তবের দাবি, “লক্ষাধিক টাকা-সহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গিয়েছে ওই ডাকাত দল।”
বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ ৮ জন দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢোকে প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে লুঠপাট চালায়। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, “প্রথমেই তারা আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। সকলকে চুপচাপ হাঁটু মুড়ে বসে থাকতে বলে। তার পরে ক্যাশিয়ারের কাছে গিয়ে ক্যাশ বাক্স খুলে টাকা বের করে দিতে বলে। টাকা নেওয়ার পর অফিসে উপস্থিত সমস্ত ব্যক্তির পকেট ও মানি ব্যাগ সার্চ করে। কেড়ে নেয় মোবাইলও।” ঘটনার সময় কয়েক জন গ্রাহকও ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁদেরও মারধর করে টাকা পয়সা কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। |
তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ছবি: অভিজিৎ সিংহ। |
সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, লুঠপাট শেষ হলে দুষ্কৃতীরা তাঁদের বিকেল ৫টার আগে দরজা না খুলতে বলে। দরজা খুললেই বিস্ফোরণ হবে বলেও দুষ্কৃতীরা তাঁদের হুমকি দিয়ে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায়। সঞ্জয়বাবুর দাবি, “তারা চলে যাওয়ার পরে অফিসের ফোন থেকে ১০০ নম্বরে ডায়াল করলেও লাইন পাওয়া যায়নি। পরে হাঁকডাক করে বাইরের লোকজনকে জড়ো করে দরজা খোলার ব্যবস্থা করি। একটি মোবাইল ফোন থেকে থানায় খবর দিলে প্রায় ৩০-৩৫ মিনিট পর পুলিশ আসে।” পরে তদন্তে আসেন বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রাজা।
ওই অফিসে গিয়ে দেখা গেল, পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অফিসের কাগজপত্র। এ ভাবে দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতবাক। তাঁদের একাংশের দাবি, প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ডাকাতি চললেও বাইরে কিছুই টের পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের ভূমিকায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। এ ভাবে দিনে-দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত ভাবে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |