এক প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ক্যানিংয়ের সুন্দিপুকুরিয়া গ্রামে। মিহির নস্কর (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়কে সোমবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তিনি কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন এবং মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, মিহিরবাবু দিনমজুরি করতেন। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান। যদিও মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী ভাগচাষি ছিলেন। ঋণের কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। লক্ষ্মীদেবী বলেন, “অন্যের এক বিঘা জমি নিয়ে এ বার বোরো চাষ করেছিলেন স্বামী। এ জন্য ১০ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু চাষ ভাল হবে না বলে আশঙ্কা করেছিলেন। ধার কী ভাবে শোধ করবেন, সেই দুশ্চিন্তাতেই আত্মঘাতী হন।”
মিহিরবাবু যে এ বার অন্যের জমিতে চাষ করেছিলেন, সে কথা মানতে চাননি তাঁর খুড়তুতো ভাই তথা সংশ্লিষ্ট দাঁড়িয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সিদ্বেশ্বর নস্কর। তিনি বলেন, “দাদা দিনমজুরি করতেন। চাষবাস করতেন না। অসুস্থও ছিলেন। মানসিক অবসাদে হয়তো আত্মহত্যা করেছেন।”
ক্যানিং-১ এর বিডিও রাজদীপ দত্ত বলেন, “মিহিরবাবু দিনমজুরি করতেন। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে সম্প্রতি একটি খাল সংস্কারের কাজ করেছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি ১২৬০ টাকার চেক পেয়েছেন। আরও ১০০২ টাকার চেক তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। উনি অসুস্থ ছিলেন বলে জেনেছি। মেয়ের বিয়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক শেখর সেন জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |