সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসীরা। অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি থানার পুকুরপাড়া গ্রামে। ধৃতের নাম মঙ্গল নায়েক ওরফে পচা। ওই কিশোরী সম্পর্কে মঙ্গলের আত্মীয়। সোমবার ধৃতকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তার ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশাপাশি বাড়ি ওই যুবক ও কিশোরীর। নিকট আত্মীয় হওয়ায় দুই পরিবারেরই একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল। এ দিন বাড়ির কাছেই সন্দেশখালিতে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। গ্রামের প্রায় সকলেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। ওই কিশোরীর বাবা-মাও বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা গিয়েছিলেন ১০০ দিনের কাজ করতে। সেই সময় তাঁদের মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে কিশোীর মা জানান, দুপুর দেড়টা নাগাদ বাড়িতে ঢোকে মঙ্গল। ভাই-বোনের মতো সম্পর্ক হওয়ায় মঙ্গলকে প্রথমে সন্দেহ হয়নি মেয়ের। সুযোগ বুঝে মেয়ের মুখে গামছা চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক। চিৎকার করলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, বাড়ি ফিরে ঘর থেকে গোঙানির শব্দ পান ওই দম্পতি। ঘরে ঢুকতেই দেখতে পান মেয়ের উপরে অত্যাচার করছে মঙ্গল। তাঁদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই মঙ্গলকে ঘর থেকে বের করে গণধোলাই দেন। তাকে একটা বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ জানায়, অত্যাচারের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তাকে প্রথমে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বসিরহাট হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযুক্তের পরিবারের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফাঁসানো হয়েছে মঙ্গলকে। |