মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তারই জেরে সোমবার সকালে কারখানায় জেনারেল ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত শ্রমিকদের একাংশ। জেনারেল ম্যানেজার কে কৃষ্ণ কুমার বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের ফিডার রোডে অন্নপূর্ণা কটন মিলে এই ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ
প্রহৃত ম্যানেজার। |
পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শ্রমিকেরাও পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছেন, পুরনো শ্রমিকদের বঞ্চিত করে নতুন শ্রমিকদের বেশি বেতন দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে। তাঁরা এর প্রতিবাদ করেন। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর পাশাপাশি অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করার বিষয়েও গত ছ’-সাতদিন ধরে অশান্তি চলছিল কারখানায়। শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, কারখানায় হাজির হওয়া সত্ত্বেও দু’দিন ধরে তাঁদের হাজিরা নথিভুক্ত করা হয়নি। সোমবার সকালে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ কারখানায় লক-আউটের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। তার জেরেই কারখানার প্রশাসনিক ভবনে জেনারেল ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় শ্রমিকদের একাংশ।
জেনারেল ম্যানেজার কে কৃষ্ণকুমার বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে লেবার কমিশনেও আলোচনা চলছে। আমি একা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। মারমুখী শ্রমিকদের সেই কথাই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কারখানার সম্পত্তি যে ভাবে নষ্ট করা হয়েছে তা ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হবে। আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। শ্রমিকেরা উৎপাদন বন্ধ করে দৈনিক মজুরি দাবি করছেন।’’ |
শ্রমিক নেতা রঞ্জিত চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে বঞ্চনা করছেন। শ্রমিকেরা প্রতিবাদ করায় তাঁদের নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।’’
এদিন গোলমালের পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে। উভয়পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বলা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি।’’
|