|
|
|
|
ন’ঘণ্টা চলল বিক্ষোভ |
দুর্নীতির অভিযোগে জঙ্গিপুর কলেজে ঘেরাও অধ্যক্ষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জঙ্গিপুর কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ছাত্র সংসদের সদস্য-সহ কলেজের ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, সদ্য কলেজে নিয়োগ করা চার কর্মীর নিয়োগপত্র বাতিল করতে হবে। তাঁদের আরও দাবি, কলেজে ছাত্রীদের জন্য শৌচাগার ও ক্যান্টিন চালু করতে হবে, সচল রাখতে হবে কলেজ গ্রন্থাগারও। সোমবার সকাল ১১টা থেকে শুরু এই ঘেরাও চলে রাত পর্যন্ত। ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয় অধ্যক্ষকে। সাড়ে আটটা নাগাদ অধ্যক্ষ বিষয়গুলি নিয়ে আগামী ২২ মার্চ পরিচালন সমিতির বৈঠক ডেকে আলোচনার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
ছাত্র সংসদের সম্পাদক ওয়াসিম রেজা বলেন, “কো-এডুকেশন কলেজে ছাত্রীদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট শৌচাগার নেই। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। কলেজে কোনও ক্যান্টিন নেই দীর্ঘদিন। গ্রন্থাগারে কর্মী না থাকায় তাও কার্যত বন্ধ। সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার, কোনও নিয়ম-নীতি না মেনে, বিজ্ঞাপন ছাড়াই কলেজে চার জন অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, “এর আগে বহুবার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি। তাই এ বার লিখিত আশ্বাস না দিলে আমরা ঘেরাও তুলব না।”
কলেজের অধ্যক্ষ আবু এল শুকরানা মণ্ডল বলেন, “দাবিগুলো নিয়ে কলেজ পরিচালন সমিতিতে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের। কিন্তু লিখিত ভাবে কোনও আশ্বাস দেওয়া সম্ভব নয়।” ছাত্রদের এই দাবিকে সমর্থন করেছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য কংগ্রেসের বিকাশ নন্দ। তিনি বলেন, “অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। একেবারে অবৈধ ভাবে চার অশিক্ষক কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। পরিচালন সমিতিকে কোনও কিছু না জানিয়েই অধ্যক্ষ তা করেছেন। ছাত্র সংসদের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করা হচ্ছে না। ওদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। আমি সমস্যা মেটাতে কলেজে গেলেও অধ্যক্ষ কোনও কথা বলতে রাজি হননি।” এসএফআই-এর জঙ্গিপুর জোনাল কমিটির সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বলেন, “এই একই দাবিতে আমরাও বহুবার বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আশ্বাস দিয়েও তার পরে আর কিছু করেননি অধ্যক্ষ। তাই লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবি একেবারেই অন্যায্য নয়।” তবে এ দিনের বিক্ষোভের পরে অধ্যক্ষ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ধার্য করে দেওয়ায় বিক্ষোভ উঠে যায়। |
|
|
|
|
|