হেরোইন ও হেরোইন তৈরির উপকরণ-সহ লালগোলার এক সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সিপিএমের লালগোলা লোকাল কমিটির ওই সদস্যের নাম শ্রীকান্ত বিশ্বাস। বছর পঁয়তাল্লিশের শ্রীকান্তবাবু দলের স্থানীয় কৃষ্ণপুর ব্রাঞ্চ কমিটির সম্পাদক এবং লালগোলা পদ্মা ফিসারম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটির পরিচলন সমিতির অন্যতম সদস্য। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এবং বর্তমানে তিনি ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্য।
লালগোলার ওই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে আরও তিন জনকে সোমবার সকালে লালগোলার জোতখামার গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে হেরোইন ও হেরোইন তৈরির উপকরণ মিলিয়ে প্রায় ১৬১ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জনান। |
পুলিশ সুপার বলেন, “ধৃত ওই ৪ জনের মধ্যে জাফর আনসারির বাড়ি উত্তর প্রদেশের বোরাবাকি এলাকায়। হেরোইন তৈরির উপকরণ উত্তর প্রদেশ থেকেই এসেছিল। বিশেষ সূত্রে ওই খবর পেয়ে লালবাগের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে শ্রীকান্ত-সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করে।” শ্রীকান্ত ও জাফর আনসারি বাদে ধৃত অন্য দু’ জনের নাম পিন্টু সরকার ও অভি হালদার। সিপিএমের লালগোলা লোকাল কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণা রায় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কারণ জানিনা, তবে শ্রীকান্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।”
জেলা সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে, দলীয় স্তরে তদন্ত করে শ্রীকান্তবাবুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দু’ দশক আগেও ভাজা বাদাম ফেরি করে সংসার চলত শ্রীকান্তের। তাঁর স্ত্রী স্বপ্নাদেবী গত ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর লালগোলার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তার পর থেকে টানা এখন পর্যন্ত স্বপ্নাদেবী ওই পঞ্চায়তের সদস্য। পুলিশ সুপার বলেন, “এক সময়ে বাদাম ফেরি করলেও শ্রীকান্ত বিশ্বাসের এখন ইটভাটা রয়েছে। স্থানীয় একটি হোটেলের মালিকও সে।”
শ্রীকান্ত ও জাফর আনসারি বাদে ধৃত অন্য দু’ জনের নাম পিন্টু সরকার ও অভি হালদার। |