|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
ছাত্র সংসদে ভোট হবে ৬৫টি আসনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আগামী ২১ মার্চ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কিন্তু ১৪১টি আসনের মধ্যে ভোট হবে মাত্রই ৬৫টি আসনে। অধিকাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। ফলে, সংসদ দখলে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। অন্য ৬৫টি আসনে টিএমসিপি কার্যত বিনা প্রদ্বিন্দ্বিতায় জিতে রয়েছে। বাকি আসনেও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। তা-ও নির্বাচনের দিন অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ছাত্র সংসদের ১১টি আসনে ডান-বাম, কোনও সংগঠনই প্রার্থী দিতে পারেনি। ফলে ওই আসনক’টিতে ভোটই হচ্ছে না। কোনও ছাত্র প্রতিনিধিও থাকছেন না।
কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? এসএফআইয়ের অভিযোগ, সন্ত্রাসের আবহে নির্বাচন হচ্ছে। সংগঠনের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র বক্তব্য, সন্ত্রাসের আবহে যে নির্বাচন হচ্ছে না তা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। যদি সন্ত্রাসই হতো তা হলে কি ওই ১১টি আসনে প্রার্থী দেওয়া যেত না? টিএমসিপি-র এক জেলা নেতার কথায়, “আমরা প্রার্থী হতে কাউকে জোর করিনি। যাঁরা চেয়েছেন, তাঁরাই প্রার্থী হয়েছেন। ১১টি আসনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি।” এত দিন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে এসএফআইয়ের একাধিপত্য ছিল। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পর এখানেও ‘বদলের হাওয়া’ এসে পৌঁছেছে। একাংশ ছাত্র এসএফআইয়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যদিও এ কথা মানতে নারাজ সংগঠনের জেলা সম্পাদক সৌগত পণ্ডা। তাঁর বক্তব্য, “ছাত্রছাত্রীরা আমাদের পাশেই রয়েছেন। কী পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে তা সকলেই দেখছেন। ধারাবাহিক সন্ত্রাস চলেছে। শিক্ষকদের একাংশও টিএমসিপি-র হয়ে কাজ করেছেন।” অভিযোগ উড়িয়ে টিএমসিপি-র বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি শিবরাম বেরা বলেন, “এত সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার কাজ আগে কখনও হয়নি। অধিকাংশ আসনে প্রার্থী খুঁজে না-পেয়ে এখন অপপ্রচার করছে এসএফআই।”
আপাতত, সকলের নজরে ২১ তারিখের নির্বাচন। ওই দিন যে ৬৫টি আসনে নির্বাচন, তার মধ্যে কে ক’টি পায়, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। ৫১টি আসনে তাঁদের প্রার্থী থাকলেও এসএফআই নেতৃত্ব অবশ্য ইতিমধ্যে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। ডিএসও-র প্রার্থী রয়েছে ২০টি আসনে। ছাত্র পরিষদের প্রার্থী রয়েছেন ১৫টি আসনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের ডিন সুবীর বসু বলেন, “ভোট হবে ৬৫টি আসনে। নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|