|
|
|
|
মর্গ্যানদের বাধা চোট-আঘাত |
কুণাল বসু • কলকাতা |
আইএফএ শিল্ডের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ‘দুর্বল’ পৈলান অ্যারোজ। তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ফাইনালের পথে বিপক্ষ গোলে সুব্রত পাল নামক বাধা নেই। মর্গ্যানের সবচেয়ে বড় চিন্তা চোট-আঘাত। পৈলান ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল কার্যত হাসপাতাল। এক নম্বর স্ট্রাইকার টোলগের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। মর্গ্যান সোমবার অনুশীলনের পর বললেন, “মনে হচ্ছে ওর ফিরতে সপ্তাহ দু’য়েক লাগবে।” রাতে জানা গিয়েছে টোলগের এমআরআই রিপোর্টে খারাপ কিছু নেই। রবিন সিংহের চোট ততটা গুরুতর নয়। তবে শুরুতে তাঁকে হয়তো নামাবেন না মর্গ্যান। সে ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কোচের ভরসা বলতে বলজিৎ সিংহ এবং লেন।
টোলগের দু’টো হলুদ কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে শেষ চারে খেলার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে পৈলান প্রশ্ন তুলল ম্যানেজার্স মিটিংয়ে। মর্গ্যান অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, পুরো টিম পেলেও পৈলানকে সহজ প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন না। “যে টিমের সেমিফাইনালে ওঠার জন্য লক্ষ্য ছিল চার গোলে জেতা, তারাই ৫-০ জিতেছে। ওদের হাল্কা ভাবে নেওয়ার প্রশ্ন নেই।” কিন্তু এই মুহূর্তে তাঁর প্রধান সমস্যা আঠারো জনের দল তৈরি করা। মর্গ্যান হেসে বললেন, “এগারো জন তো অন্তত পেয়েছি!” |
|
অনুশীলনের ফাঁকে সঞ্জুরা। ছবি: উৎপল সরকার। |
সুশান্ত ম্যাথু সিনবোনে হাল্কা চোট পেলেও মাঝমাঠে সঞ্জু-পেন-পাইতের সঙ্গে তাঁকেই হয়তো দেখা যাবে। উগা ওপারা-গুরবিন্দর সিংহ স্টপারে নিশ্চিত। থাকছেন সৌমিক দে-ও। রবার্ট, সৈকত সাহা রায় সুস্থ হওয়ার পথে। গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ দিল্লি গিয়েছেন পাসপোর্ট নবীকরণ করাতে। সন্দীপ নন্দীকেই তাই গোলের নীচে দেখা যেতে পারে।
পৈলান দুই ফরোয়ার্ড অ্যালউইন জর্জ এবং হোলিচরণ নার্জারির উপর বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছে সময়-সময় মাঝমাঠে নেমে আসার। পৈলান কোচ সুজিত চক্রবর্তী বললেন, “মাঝমাঠ জমাট রেখে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করছি।” কথা শুনে মনে হল, নির্ধারিত সময় ড্র রেখে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে চান তিনি। |
মঙ্গলবারে
আইএফএ শিল্ড সেমিফাইনাল-
ইস্টবেঙ্গল : পৈলান অ্যারোজ (যুবভারতী, ২-৩০)। |
|
|
|
|
|