নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত |
লক্ষ্মীকে দলে ফেরাতে বাধ্য হল পূর্বাঞ্চল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দেওধরের দল নির্বাচনের পর ৪৮ ঘণ্টাও পেরোল না, লক্ষ্মীরতন শুক্লকে আবার পূর্বাঞ্চল টিমে ডেকে নিতে হল। আর অভূতপূর্ব সেই সিদ্ধান্ত হল রাজা বেঙ্কটের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চল নির্বাচক কমিটিকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে। যাঁরা কিনা দু’দিন আগেই ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের’ দায়ে টিম থেকে বাদ দিয়েছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বাংলা অলরাউন্ডারকে। লক্ষ্মীকে টিমে ঢুকিয়ে নেওয়া হল পূর্বাঞ্চলের বাকি রাজ্য সংস্থাদের সঙ্গে কথা বলে। সৌজন্যে সোমবার ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটে-বলে তাঁর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স।
কিন্তু তাতেও আশঙ্কার মেঘ কাটছিল না। উল্টে লক্ষ্মীই খোদ বেঁকে বসেছিলেন! সিএবি কর্তাদের অনুরোধের পরেও ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন যে, এ ভাবে টিমে ‘ব্রাত্য’ হওয়ার পর আর তিনি দেওধরে যাবেন না। রাতের দিকে অবশ্য জট কেটেছে। লক্ষ্মী বলেছেন, “মাঠই আমার জীবন। যা জবাব দেওয়ার বাইশ গজেই দেব। অভিমান ভুলে থাকলাম শুধু ক্রিকেটের জন্য।” |
|
সোমবার রাতে শহরে ফিরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
এ দিন দুপুর-দুপুরই সিএবি কর্তারা টের পেয়ে যান, দিল্লিতে ধন্ধুমারের পরেও লক্ষ্মীকে দেওধরের টিমে না ফেরালে মুখরক্ষা হওয়া মুশকিল। পূর্বাঞ্চল নির্বাচক কমিটির প্রধান রাজা বেঙ্কটকে ফোন করা হয়। তিনি এর মধ্যে ঢুকতে না চাওয়ায় ফোন যায় বাকি সংস্থাদের কাছে। বলা হয়, দরকারে ১৭তম সদস্য হিসেবে নেওয়া হোক লক্ষ্মীকে। এও বলা হয়, ক্রিকেটার শৃঙ্খলা ভাঙছেন কি না সেটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচকদের নয়। সেটা প্রশাসনিক ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার কুমার দেবব্রতের জায়গায় আসেন লক্ষ্মী। তবে সিএবি-র অনেকেই মনে করছেন, দল নির্বাচনের দিন বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিএবি কর্তা এবং বাংলার নির্বাচকপ্রধান দীপ দাশগুপ্ত আরও সচেষ্ট হলে, এ রকম ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র দরকার পড়ত না। সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেউ কেউ এ দিনও নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, “রঞ্জি এক দিনের টিম হলে তো প্রথম নামটাই লক্ষ্মীর লেখা উচিত!”
এ দিকে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কোচ-সহ বাংলা দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সিএবি। সৌরভের টিমের সাপোর্ট স্টাফ পাচ্ছেন ৫০ হাজার করে। দলীপ ট্রফি জয়ী পূর্বাঞ্চল টিমে বাংলার পাঁচ সদস্যকে আলাদা করে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। |
|
বাংলা |
সর্বোচ্চ মোট রান ৩৯৫
ঋদ্ধিমান সাহা
সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫১
লক্ষ্মীরতন শুক্ল
টানা ছ’টা হাফ সেঞ্চুরি
ঋদ্ধিমান সাহা
সর্বাধিক সেঞ্চুরি ২
লক্ষ্মীরতন শুক্ল
সর্বাধিক উইকেট ১১
সামি আমেদ ও লক্ষ্মীরতন শুক্ল
সেরা বোলিং৫-৫৪
অশোক দিন্দা |
বিজয় হাজারেতে |
|
|
|