|
|
|
|
ট্রফি নিতে লক্ষ্মীদের পাঠালেন সৌরভ |
স্বপন সরকার • নয়াদিল্লি |
জয়ী দলের ট্রফি নেওয়ার জন্য তাঁর নাম ঘোষণা। চারদিকে ‘দাদা, দাদা’ চিৎকার। তারই মধ্যে সৌরভের সবিনয় প্রত্যাখ্যান। হাত নেড়ে বাংলা অধিনায়ক বললেন, “না না, আমি নয়। আমার ছেলেরা নেবে ট্রফি। এই ট্রফিটা ওদের।”
শুধু কী তাই? ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে যখন লক্ষ্মীরতন আর অনুষ্টুপের দিকে ছুটছেন ঋদ্ধিরা, তখনও উচ্ছাসে না ভেসে বাংলা অধিনায়ক থাকলেন ড্রেসিংরুমে। যখন বেরোলেন, মুখে মৃদু হাসি। ফাইনালের ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ লক্ষ্মী ফিরতেই তাঁর হাত ধরে মাঠে নামলেন। আর লক্ষ্মীর সঙ্গে ট্রফি নিতে পাঠালেন টুর্নামেন্টের দুই সেরা ঝদ্ধিমান ও অনুষ্টুপকে। |
|
অধিনায়কের অভিনন্দন। কোটলায়। ছবি: প্রেম সিংহ |
দেওধর ট্রফিতে প্রথমে পূর্বাঞ্চল দলে লক্ষ্মীর বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন, একইসঙ্গে জানালেন, এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই দলে থাকা উচিত অশোক দিন্দার। বলা হল, শৃঙ্খলাজনিত কারণে নাকি বাদ পড়েছিলেন লক্ষ্মী। সৌরভ মাথা নাড়েন, “তাই নাকি? তবে ওটা কোনও কারণ হতে পারে না। পারফরম্যান্সই শেষ কথা হওয়া উচিত। আজ যা খেলেছে, কথা হবে না।”
আগে চার বার বাংলা বিজয় হাজারে ফাইনাল খেললেও বাংলার ঘরে ট্রফি এই প্রথম বার এল। “এর আগে মাত্র দু’-এক বার এই টুর্নামেন্টে খেলেছি। আমার নেতৃত্বে ট্রফি জয়ের জন্য নয়, আমি খুশি আগাগোড়া দল ভাল খেলায় এবং জেতায়, বলে সৌরভ যোগ করলেন, “তবে এই ট্রফির থেকেও আমার কাছে বড় কৃতিত্ব পূর্বাঞ্চলের দলীপ ট্রফি জয়।” পাশাপাশি এটাও বললেন, “এ মরসুমে বাংলা দারুণ খেলছে। সকলেই সেরাটা দিয়ে বাংলা ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছে। তার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য সিএবিরও। বলা যেতেই পারে বাংলা ক্রিকেট ঠিক লোকেদের হাতেই আছে।”
বাংলার কোচ ডব্লিউ ভি রামন বললেন, “আমার দেখা ঘরোয়া ক্রিকেটে এটাই অন্যতম সেরা ইনিংস।” টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান বললেন “আমাদের পুরো প্ল্যানিং তৈরি ছিল। তাই চাপ ছিল না। তবে লক্ষ্মী অনবদ্য।” |
|
|
|
|
|