কৃষি জমিতে ইটভাটা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা। কিন্তু এলাকার পরিবেশ দূষিত হবে এবং সংলগ্ন কৃষি জমির ক্ষতি হবে এই দাবি তুলে ইটভাটা তৈরির বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামলেন গ্রামবাসীরা। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বুজরুক দিঘা গ্রামের ঘটনা। গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, বিধায়ক, পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছেন। রবিবার গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধভাবে প্রস্তাবিত ইটভাটার জমিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রয়োজনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়েছেন।
প্রস্তাবিত ইটভাটার জমিটি উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা-২ নম্বর ব্লকের ভরকুন্ডা এবং শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা লাগোয়া। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বিঘা জমির উপর ইটভাটা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা হাজি সিরাজুল হক নামে এক ব্যক্তি। গ্রামবাসীদের দাবি, ওই এলাকায় হাইস্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাজা শিশু শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। ইটভাটা হলে বিষাক্ত কার্বন-ডাই অক্সাইড গ্যাস পরিবেশ দূষণ করবে। খেতের ফসলেও তার প্রভাব পড়বে। জনবসতিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। |
গ্রামবাসীর বিক্ষোভ। ছবি: পার্থসারথি নন্দী। |
অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায় বলেন, “ওটা তিন ফসলি জমি। এলাকার মানুষ যে দাবি তুলেছেন তা সঙ্গত। ওই ব্যক্তিকেও বলেছি ইটভাটা না তৈরি করার জন্য”। শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, “ওই জমিটি ভরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা। মানুষের অসুবিধা হবে। ভরকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তপন বাগকে বলেছি ইটভাটা তৈরি বন্ধ করতে।”
সিরাজুলের ছেলে রবিউল হক বলেন, ‘‘কৃষিকাজ করে লোকসান হচ্ছে। সেই কারণে ইটভাটা তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। তবে গ্রামবাসীদের আপত্তি থাকলে পরিবারের সকলে মিলে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেতা হবে।” |