টুকরো খবর
বাঁকাদহ রেঞ্জ থেকে উদ্ধার কাটা গাছ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এক গাড়ি কাটা আকাশমণি গাছ উদ্ধার করল বিষ্ণুপুর বন বিভাগ। বিষ্ণুপুর বন বিভাগের বাঁকাদহ রেঞ্জের আমডাংড়া বিটের মোলবেড়িয়া জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে দশ হেক্টর জমিতে আকাশমণি গাছ লাগানোর কাজ চলছে। ওই বাগান এলাকা থেকে বেশ কিছু দিন থেকে আকাশমণি গাছ চুরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। চুরির খবর জানতে পেরে বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ তল্লাশি শুরু করেন।
উদ্ধার হওয়া কাটা গাছ। ছবি: শুভ্র মিত্র।
এলাকার বাসিন্দা আনন্দ হেমব্রম নামে একজনের বাড়ি থেকে খড় চাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় এক গাড়ি কাটা আকাশমণি গাছ। বলাই ঘোষ বলেন, “এলাকাটি আমডাংড়া বিট সংলগ্ন। আমি বিট অফিসারকে আনন্দ হেমব্রমের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি।” তিনি আরও বলেন, “এমনিতেই বনরক্ষী কম। রাতে এই সব গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে বলে খবর পেয়েছিলাম। রাতেও যাতে বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা নজরদারি বাড়ায় তার নির্দেশ দিয়েছি।” এ দিকে উদ্ধার হওয়া গাছগুলিকে বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

মশা মাছি ঠেকাতে স্প্রে করল পুরসভা
ডাম্পিং গ্রাউন্ড এবং লাগোয়া এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব ঠেকাতে কীটনাশক স্প্রে করা হল শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে। সোমবার সকালে পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত এবং পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মার উপস্থিতিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় কীটনাশক স্প্রে করা হয়। মেয়র জানিয়েছেন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রকল্প গড়তে উদ্যোগী তাঁরা। তারই অঙ্গ হিসাবে এ দিন এই কাজ করা হল। রঞ্জনবাবু বলেন, “একটি ওষুধ কোম্পানি ওই কাজে সহায়তা করেছেন। ওষুধ স্প্রে করায় এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব কমবে বলে আমরা আশাবাদী।” প্রসঙ্গত, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বর্জ্য পেলতে সম্প্রতি বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণে এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড অন্যত্র সরানোর দাবি বারবার জানানো হলেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। ওই অভিযোগে আবর্জনা ফেলতে তারা বাধা দিলে বিপাকে পড়েন পুর কর্তৃপক্ষ। সমস্যা নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুর কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয় পুরসভার তরফে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণ রোধ করা হবে। তা না-হওয়া পর্যন্ত এলাকায় মশা মাছির উপদ্রব এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পুরসভা উদ্যোগী হবে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড লাগোয়া রাস্তায় যাতে আবর্জনা জমে না থাকে সে জন্য পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। সেই মতো এ দিন ওই এলাকায় মশা-মাছি মারার ওষুধ স্প্রে করা হয়।

অভয়ারণ্যে ১০৫ দল, কুনকি ১৫টি
আজ, মঙ্গলবার থেকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গন্ডার সুমারি শুরু হতে চলেছে। ১৪ই মার্চ বুধবার পর্যন্ত গণনার কাজ চলবে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ২ বছর অন্তর গন্ডারসুমারি করা হয়। গত ২০১০ সালের গন্ডার সুমারির সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী গরুমারা জাতীয় উদ্যানে মোট গন্ডার ছিল ৩৫টি। যার মধ্যে ১৮ পুরুষ ও ১২টি স্ত্রী। ৫টি গন্ডারের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি। সুমারি আনুযায়ী বর্তমানে গরুমারায় ৩২টি গন্ডার রয়েছে। ৩টি বিবাগী হয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বন কর্তারা জানান, ৩ সদস্যের মোট ১০৫টি দলের মাধ্যমে গণনা হবে। গন্ডারের পাশাপাশি অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণী সম্বন্ধেও এবার এই গণনাকারী দল পরিসংখ্যান জোগাড় করবে। ফলে বাইসনের মতো প্রাণীর সঠিক সংখ্যাও জানা যাবে। ১০৫ টি গণনাকারী দলের মধ্যে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ৫৬, চাপড়ামারিতে ২৫, জলপাইগুড়ি বনবিভাগ এলাকাতে ২২, গুলমা ও বৈকন্ঠপুরে ১টি করে মোট ২ টি দল থাকবে। গরুমারা পিলখানার মোট ৯টি কুনকি হাতি ছাড়াও জলদাপাড়া থেকে আরও ৬টি কুনকি আনা হয়েছ। এবারের গণনায় গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশা করছেন জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী ২ বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক।

দুই বাইসনের হানা, জখম ২
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়া দুটি বাইসনের হানায় জখম হলেন দুই গ্রামবাসী। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে কালচিনির মেন্দাবাড়ি পঞ্চায়েতে উত্তর ও দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি এলাকায়। এ দিন ভোরে মেন্দাবাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিমাতি জঙ্গল থেকে দুটি বাইসন বের হয়ে দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি গ্রামে ঢোকে। ওই সময় নিজের বাড়ির সামনে ছোটু খাড়িয়া নামে এক বৃদ্ধ বুনোর সামনে পড়ে যান। বুনোটি তাঁকে জখম করে। এর পরে সনুশ্রী নার্জিনারি নামে এক মহিলাকে শিং দিয়ে কয়েক ফুট দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়। বন্যপ্রাণ ৩ বিভাগের এডিএফও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বন কর্মীরা পৌছনোর আগে একটি জঙ্গলে ফিরে যায়। অন্যটি নিমতির কাছে খয়ের বনে আশ্রয় নেয়।”

ধরা পড়ল চিতাবাঘ
সোমবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
গুয়াহাটির নয়মাইল এলাকায় ছড়াল চিতাবাঘের আতঙ্ক। পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটি পাশের পাহাড়-জঙ্গল থেকে সিআরপিএফ শিবিরের পিছনে নেমে শিবিরের একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। এক কনস্টেবল দেখতে পেয়ে চিৎকার করে বেরিয়ে আসতেই হইচই পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে চিতাবাঘটিকে ঘরবন্দি করে ফেলেন। বন বিভাগের চিকিৎসকেরা ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে তাকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.