ফের শিরোনামে পাসিঘাট। এ বার পাসিঘাটে মুণ্ডহীন মূর্তির সারি! গত মাসে শুকিয়েছিল নদী। আর গত কাল শহরের মূর্তিগুলি মিলল বেহাল অবস্থায়।
সিয়াং (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে, অরুণাচলের পূর্ব সিয়াং জেলার সদর শহর পাসিঘাট। গত কাল সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভাঙা মূর্তির খবর মিলতে থাকে। দেখা যায় জাতির জনক, নব অরুণাচলের রূপকার ও এক গুচ্ছ দেবদেবীর মূর্তির কোনওটিই অক্ষত নেই। গাঁধীজি ও আধুনিক অরুণাচলের রূপকার দিয়িং এরিং মাথাই খুইয়েছেন। কোথাও শিব হারিয়েছেন জটা, কোথাও কালী ঠাকুর ঠুঁটো। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বোসিরাম সিরাম বলেন, “রাজ্য তথা গোটা দেশের পক্ষে এই ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি, সাত দিনের মধ্যে অপরাধীদের ধরতে হবে।” |
গাঁধীজির মূর্তিটি রয়েছে গাঁধী চক-এ। পাশেই পুলিশ ফাঁড়ি। অথচ তার মধ্যেই শনিবার রাতে দুষ্কৃতীরা মই বেয়ে উঁচু মূর্তিটির মাথা ভেঙে ফেলে। মাথাটি পার্শ্ববর্তী নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দিকে, দিয়িং এরিং-এর মাথা মিলেছে গাঁধী চক-এর কাছে। ন’টি দেব-দেবীর মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পরে পুলিশের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশকে সতর্ক করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাতভর পুলিশি টহলের ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি।” ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় উপজাতি, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখান। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা তাকো দাবি বলেন, “লজ্জা ঢাকতে দ্রুত অপরাধীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।” বিজেপির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক তাপির গাওয়ের মতে, এটি জাতীয় অপমান। অপরাধীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা রুজু করা উচিত। জেলাশাসক টালেম টাপোক জানিয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্থানীয় মাদকাসক্ত সমাজবিরোধীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। |