সাময়িক মুক্তি পেয়েই অণ্ণা হজারের সম-মর্যাদা দাবি করলেন ইরম শর্মিলা চানু। ২০০০ সাল থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে টানা অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চানু। ফের এক বছরের কারাবাসের মেয়াদ শেষ করে আজ বিকেলে জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল থেকে বের হন তিনি। পূর্ব ইম্ফলের প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট টোসেন মেইতেই আজ চানুর মুক্তির নির্দেশ দেওয়ার পরেই সমর্থকদের সঙ্গে তিনি সোজা চলে যান অনশন মঞ্চে।
শেষ বার, গত বছর ১০ মার্চ মুক্তি পেয়েছিলেন চানু। এ বারেও তাঁর কাছে এই ‘মুক্তি’ তাৎপর্যহীন। চানুর আবেদন সত্ত্বেও, ‘জনগণের রায়ে’, আরও বেশি আসনে জিতে ফের ওক্রাম ইবোবি সিংহ মণিপুরে ক্ষমতায় ফিরছেন। |
মুক্তির পরেও তাই আনন্দের অবকাশ নেই। চানু বলেন, “আফস্পা ওঠেনি। তাই, আমার আন্দোলন চলবেই। আমায় মুক্তি একটা প্রহসন মাত্র। কারণ, কালই আমায় ফের গ্রেফতার করা হবে।” তফাৎ একটাই। গত এক বছরে, দেশে অণ্ণাকে নিয়ে হইচইয়ে মণিপুরবাসী বিস্মিত। অণ্ণাও গাঁধীবাদী নেত্রী। চানুও। কিন্তু অল্প কিছু দিন অনশন চালানো অণ্ণাকে নিয়ে সর্বভারতীয় ঢেউ, তিরিশজন চিকিৎসকের সরকারি বোর্ড, পুলিশ প্রহরা, ‘ভিআইপি ট্রিটমেন্ট’। অন্য দিকে, ১১ বছর ধরে অনশন করা চানু পর্দার আড়ালেই রয়ে যান। সরকারি উদ্যোগ বলতে বছরে একবার মুক্তিদান, পরদিন গ্রেফতার করা ও নিয়মমাফিক আদালতের হাজিরার ব্যবস্থা। বাকি সময়টা, ‘সেভ শর্মিলা’, ‘শর্মিলা কানবা লুপ’-এর সমর্থকেরাই যা দাবি-দাওয়া জানান। খোদ চানুরও প্রশ্ন, “দিল্লির কাছে দুই অনশনকারীর আসন ও মর্যাদা দুই রকম। আমাকে কেন অণ্ণার সমান মর্যাদা ও গুরুত্ব দেওয়া হবে না?” রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরায় অখুশি চানু। তাঁর মন্তব্য, “ইবোবি পুরোপুরি সশস্ত্র আইন ও স্বেচ্ছাচারের পক্ষে। অন্য কেউ হাল ধরুক।” |