পদ্ধতির ভুল, বিশ বাঁও জলে ইউনিট-কর ব্যবস্থা
উনিট চিহ্নিতকরণেই গলদ। যার জেরে ফের অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কলকাতা পুরসভার প্রস্তাবিত নয়া সম্পত্তিকর নির্ধারণ ব্যবস্থা। গত বছরের বাজেট পেশ করার সময়ে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, চলতি কর-কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে চলতি বছরেই পুরসভা নতুন ‘ইউনিট এরিয়া’ ভিত্তিক কর ব্যবস্থা চালু করবে। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। এমনকী, শনিবার আগামী অর্থ বছরের বাজেট পেশ করলেও নয়া ব্যবস্থা কবে থেকে চালু হবে, তার কোনও উল্লেখ করেননি মেয়র।
সোমবার পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ইতিমধ্যেই তৈরি করা ইউনিট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের কাউন্সিলর-সহ পুরবাসীদের মধ্যে। নানা স্তরে অভিযোগও উঠছে। যার অনেকগুলি বাস্তবসম্মত বলে প্রাথমিক ভাবে গণ-শুনানিতে ধরা পড়েছে। এমনও দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট করা ইউনিটে কোনও কোনও এলাকায় করের মাত্রা দশ গুণেরও বেশি বেড়ে যাবে। আবার কোথাও তা চলতি করের তুলনায় ১০ শতাংশেরও বেশি মাত্রায় কমে যাচ্ছে।
কিন্তু, ইউনিট এলাকা কর ব্যবস্থার মূল কথা হল, শহরের কর-কাঠামোর মধ্যে সমতা আনা। কোথাও তা চলতি করের ১০ শতাংশের বেশি বাড়বে না, বা কমবে না। তাই গরমিল ধরা পড়ার জেরেই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করা গেল না বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
ফিরহাদ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও ইউনিট এলাকায় প্রস্তাবিত কর বা শ্রেণি-বিন্যাস নিয়ে সংশোধনের প্রস্তাব এলে তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে মেয়র পরিষদ। মেয়র পরিষদের হাতে ওই বিশেষ ক্ষমতা দিতে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য।
ইতিমধ্যেই দু’বার কলকাতার ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। তার পরেও কেন এই গলদ? মেয়র বলেন, “দ্বিতীয় দফায় ইউনিট চিহ্নিত করার পরেও দেখা যাচ্ছে, তা এমন ভাবে করা হয়েছে যে, একই ওয়ার্ডে সব বাড়িকে একটি নির্দিষ্ট ইউনিটের মধ্যে রাখা হয়েছে। সেখানে যেমন বড় বড় বাড়ি রয়েছে, তেমনই বস্তি ও ছোট বাড়িও রয়েছে। বর্তমান ইউনিট মানতে গেলে ওই সব ছোট বাড়ির মালিকদের পুর-কর মেটাতে বাড়িই বিক্রি করে দিতে হবে। যা বাস্তবসম্মত নয়। তাই আমরা চাই মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ইউনিট পুনর্বিন্যাস করা হোক। ফলে আমরা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত ইউনিট এলাকা ভিত্তিকে মানতে পারছি না। তাই ওই ইউনিটের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকার ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে। যাতে প্রয়োজনে ইউনিট এরিয়া আইনের সংশোধন করা যায়।”
পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী এ দিন আরও জানিয়েছেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের (এডিবি) টাকায় কলকাতার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ের কাজের প্রায় ৯০ কোটি টাকা খরচ করা যায়নি। ওই টাকায় মূলত শহরের নিকাশি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত খালগুলি সংস্কারের কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরের ৩০ জুন। তাই রাজ্য সরকার কেন্দ্রের মাধ্যমে এডিবি-র কাছে প্রথম পর্যায়ের বকেয়া কাজ শেষের জন্য আরও এক বছর অতিরিক্ত সময় মঞ্জুর করার প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। ইতিমধ্যে এডিবি কলকাতা পুরসভাকে দ্বিতায় পর্যায়ের কাজের জন্য এক কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে।
মন্ত্রী বলেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায়ের যে টাকা পাওয়া যাবে, তার অর্ধেক খরচ করা হবে পানীয় জল-প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য।” মেয়রও বলেন, “পুরসভার সংযুক্ত এলাকা-সহ পলতা, টালা, গার্ডেনরিচ জল-প্রকল্পের কাজে ওই টাকা ব্যয় করা হবে।”
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.