শিল্পোৎপাদন বাড়ল প্রায় ৭ শতাংশ
ঢিমেতালে চলা অর্থনীতিতে অবশেষে গতি ফেরার আশা জাগিয়ে জানুয়ারিতে শিল্পোৎপাদন বাড়ল প্রায় ৭ শতাংশ। যা গত সাত মাসে দ্রুততম।
২০১১ সালের জুনে এই হার ছুঁয়েছিল ৯.৫ শতাংশ। তার পর থেকে এই জানুয়ারির হারই সর্বোচ্চ। তবে উৎপাদন বাড়ার প্রবণতা বজায় থাকে কি না, সেটা না-দেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগামী ১৫ মার্চ ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদ বাড়ানোর পথে না-ও হাঁটতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা। বাজেটের বিভিন্ন প্রস্তাব দেখে নিয়ে এবং রাজকোষ ঘাটতি কোথায় পৌঁছয়, তার ভিত্তিতে ১৭ এপ্রিলের নীতিতে সুদ কমাতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
সোমবার ঘোষিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী মূলত কারখানায় ৮.৫% উৎপাদন বৃদ্ধির হাত ধরেই জানুয়ারিতে শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে ৬.৮ শতাংশ। আগের মাস, অর্থাৎ ডিসেম্বরে তলানিতে নেমে যাওয়া শিল্প-বৃদ্ধির হারের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। তবে খনন এবং মূলধনী পণ্য ক্ষেত্রে উৎপাদন কমেছে যথাক্রমে ১.৫% ও ২.৭%। এগুলির উৎপাদন বাড়ানোর উপরই তাই জোর দিতে বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে জানুয়ারির হিসেব ধরলে শিল্প বৃদ্ধির হার ৪%।
গত জানুয়ারির শিল্প বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ডিসেম্বরের সংশোধিত হিসেব অনুযায়ী এই হার ২.৫ শতাংশ (যদিও আগের হিসেবে তা ছিল ১.৮ শতাংশ)। এটা অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর স্পষ্ট লক্ষণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রণববাবু। তবে আরও জোরগলায় এই দাবি করার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, “আগামী মাসেও এই হার ধরে রাখা গেলে সেটা হবে অর্থনীতির স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত।” শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধিতে সাফল্য অবশ্য সোমবার তেমন ভাবে প্রাণ ফেরাতে পারেনি শেয়ার বাজারে। তবে গাড়ি বিক্রি বাড়ায় ওই সব সংস্থার শেয়ার দর বেড়েছে। ব্যাঙ্কিং, মূলধনী পণ্য এবং ভোগ্যপণ্য সংস্থার শেয়ার দরেও ছিল তেজী ভাব। দিনের শেষে সেনসেক্স বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট।
শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সিআরআর ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমালেও, তার প্রভাবও বাজারে সে ভাবে পড়েনি সোমবার। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার বাজার সংক্রান্ত প্রধান অশোক গৌতম এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের ঋণ নেওয়ার কর্মসূচি এবং রাজকোষ ঘাটতির উপরেই নির্ভর করবে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক এখনই সুদ কমাবে কি না। ক্রিসিলের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ডি কে জোশী বলেন, আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অপেক্ষা করবে বাজেটের জন্য।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরেই শূন্যের থেকে ৪.৭% নীচে নেমে গিয়েছিল শিল্প বৃদ্ধি। অর্থাৎ, কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়া তো দূরের কথা। আগের বছরের ওই একই সময়ের তুলনায় তা কমেছিল প্রায় ৫%। কিন্তু সঙ্কোচনের ধাক্কা সামলে নভেম্বরেই ৫.৯% বেড়ে ঘুরে দাঁড়ায় শিল্পোৎপাদন। কিন্তু তার পরেই ডিসেম্বরের ওই হারকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রণববাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.