পোড়া বাড়ি থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত শচীন বিশ্বাসকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল কালনা মহকুমা আদালত। মহকুমা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এম রায় সোমবার দুপুরে এই নির্দেশ দেন।
শনিবার সকালে পূর্বস্থলীর তামাঘাটা গ্রামে পাটকাঠি দিয়ে গড়া একটি ভস্মীভূত ঘর থেকে সাবিত্রী মণ্ডল (৪২), তাঁর মেয়ে গীতা মণ্ডল (১০) ও জয়দেব হাজরা (৪৫) নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ছ’সাত বছর ধরে স্বামী-বিচ্ছিন্না সাবিত্রীদেবীর সংসার চলত তাঁত বুনে। কমলাপুর গ্রামের জয়দেববাবুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গীতা স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শচীনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবারই আটক করেছিল পুলিশ। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। |
শনিবার ঘটনাস্থলের কাছে ভাগীরথীর পাড় থেকে একটি ব্যাটারি-হীন মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। সেটির মালিক শচীন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শচীন দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে ভুল করে ফোনটি ওই জায়গায় ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানায়, ফোন ওই জায়গায় ফেলে গিয়েছে তার বাবা। পুলিশ জানায়, কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় শচীনকে শনিবারই আটক করা হয়। তাঁকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য মেলে বলে জানিয়েছিল পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শচীনের বিরুদ্ধে খুন, অন্যের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনাস্থলে তদন্তে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা মুখ খুলতে চাননি বলে জানায় পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের স্বার্থে প্রথমে জানা দরকার, আগুন বাড়ির ভিতরেই লাগে। না কি বাইরে থেকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তা ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে জানতে পারা যাবে।” |