ছ’টি শিবির খুলে বারাবনি ব্লকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে রাজ্য সরকার।
বারাবনি ব্লকের এক চালকলের মালিক যশ খেমকা জানান, রাজ্য সরকারের সরাসরি চালকলের মালিকদের কাছ থেকে চাল কেনার কথা। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে সংগৃহীত ধান প্রক্রিয়াকরণ করে ১০০০ কুইন্টাল চাল রাজ্য সরকারের গুদামে জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আসানসোলের গুদামে জায়গা না থাকায় ফেব্রুয়ারিতে সংগৃহীত সাড়ে ৪ হাজার কুইন্টাল চাল সরকার নিতে পারেনি। দুর্গাপুর থেকে তিনি জেলা নিয়ামক এফসিআই-কে (ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া) ওই ধান দিতে বলেন। ৫ মার্চ ও ৬ মার্চ ওই চাল এফসিআই-কে জমা দেওয়া হয়। কার্যত ফেব্রুয়ারি মাসে টাকা পাননি তিনি। সোমবার, ১২ মার্চ তাঁরা চেক পেয়েছেন। তাঁর দাবি টাকা না পাওয়াতেই চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা বন্ধ ছিল। চেক ভাঙানো হলেই আবার চাষিদের কাছ থেকে চাল কিনবেন বলে জানান তিনি।
কিছুদিন আগে তৃণমূলের নেতৃত্বে মহকুমাশাসক ও বিডিও-র কাছে বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছিলেন এলাকার কৃষকেরা। তৃণমূল নেতা পাপ্পু উপাধ্যায় এ দিন বলেন, “বারাবনিতে মাত্র ১টি চালকল। সেখানে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা বন্ধ হওয়ায় অনেক কৃষকই বিপন্ন বোধ করছেন।” বিডিও জুলফিকার হোসেন জানান, এক মাসের টাকা না পাওয়ায় নতুন করে ধান কিনতে পারছেন না বলে চালকলের মালিক জানিয়েছিলেন। চালকল কর্তৃপক্ষকে তাদের আর্থিক পরিকাঠামো ঠিক করতে বলা হয়েছে। ব্লক পর্যায়ে নিয়মিত চালকল পরিদর্শন করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ইসিএসসি-কে (এসেনশিয়াল কমোডিটি সার্ভিস কর্পোরেশন) বিষয়টি জানানো হয়েছে। দোমহানি, বারাবনি, লালগঞ্জ, লুনি, পানুড়িয়া-সহ ছ’টি জায়গায় শিবির খুলে ধান কেনা হবে। মার্চেই ধান কেনা শুরু হবে। |